স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২ এপ্রিল : কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতা রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ এবং ত্রিপুরায় ভোটের ফলাফলের পর সন্ত্রাসের ঘটনার বিরুদ্ধে প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে রবিবার চুলচেরা বিশ্লেষণ হয়। উপস্থিত ছিলেন ব্লক সভাপতি থেকে শুরু করে সদ্য সমাপ্ত বিধানসভার নির্বাচনের সমস্ত কংগ্রেস প্রার্থীরা।
এদিন বৈঠকের পর আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা বলেন, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় আগামী ৮ এপ্রিল আগরতলায় সত্যাগ্রহ এবং অহিংসা কর্মসূচি সংগঠিত করা হবে। কংগ্রেস ভবন থেকে এই যাত্রা অনুষ্ঠিত করা হবে। তিনি বলেন, আগামী ১৬ এপ্রিল বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি প্রত্যেক জেলায় সত্যাগ্রহ ও অহিংসা কর্মসূচি সংঘটিত করা হবে। ১৭ এপ্রিল কৈলাসহর ডিস্ট্রিক্ট হেডকোয়ার্টারে, ২০ এপ্রিল আগরতলা শহরে এবং ২৩ এপ্রিল উদয়পুরে কংগ্রেসের কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পরাজিত হবে এবং কংগ্রেসের নেতৃত্বে দেশে নতুন সরকার গঠন হবে। সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে এদিন তিনি তীর্যকভাবে আক্রমণ করে বলেন কর্মসূচিগুলি নেওয়ার পেছনে মূলত আরো কারণ হলো, ত্রিপুরায় ভোট ফলাফলের পর দলীয় নেতা কর্মীদের হতাশাগ্রস্ত না হয়ে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন কেন্দ্রে সরকারের পরিবর্তন ঘটলে প্রথমেই ধ্বস নামবে উত্তর পূর্বাঞ্চলে। বিজেপি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে দু’বছরের সাজা ঘোষণা করেছে নিম্ন আদালতে। এবং তড়িঘড়ি করে রাহুল গান্ধীর সদস্য পদ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। অবশেষে বাংলো ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে সবকটি বিরোধী রাজনৈতিক দল এক হতে চলেছে। সন্ত্রাস প্রসঙ্গে এদিন তিনি বৈঠকে পর আরো জানান, ভোটের ফলাফলের পর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিসংযোগ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের ঘটনা সংগঠিত করেছে বিজেপি।
বাড়িঘর, কৃষি জমি, রাবার বাগান এবং গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এর ফলে বহু মানুষের ক্ষতি হয়েছে। সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন ত্রিপুরায় যদি শান্তির বাতাবরণ বজায় রাখতে ভূমিকা না গ্রহণ করে তাহলে কংগ্রেস বসে থাকবে না। প্রতিরোধের ডাক দেবে কংগ্রেস বলে জানান তিনি। সরকারের সমালোচনা করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আরো বলেন, বিধানসভা অধিবেশনে সন্ত্রাসের প্রসঙ্গে আলোচনা করার জন্য এ সরকার কোন সুযোগ দেয়নি। সুতরাং শাসক দলের প্রশ্রয়ে যে ত্রিপুরা রাজ্যের সন্ত্রাস চলছে সেটা স্পষ্ট হয়ে গেছে বিধানসভা অধিবেশনে। কংগ্রেসের অন্যান্য নেতৃত্বের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক গোপাল রায় এবং কংগ্রেস নেতা আশীষ কুমার সাহা সহ অন্যান্যরা।