Tuesday, March 25, 2025
বাড়িরাজ্যঅ্যাডভাইজার কমিটির রিপোর্ট ১০,৩২৩ -এর পক্ষে

অ্যাডভাইজার কমিটির রিপোর্ট ১০,৩২৩ -এর পক্ষে

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩০ মার্চ : বহু আন্দোলনের শেষে অ্যাডভাইজার কমিটির রিপোর্ট জমায় অক্সিজেন পেয়েছে ১০,৩২৩ চাকুরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকারা। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে ১০,৩২৩ চাকুরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে রাজ্য সরকার তিন সদস্যের অ্যাডভাইজারি কমিটি গঠন করে ৩১ মার্চের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য বলে।

কমিটির মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি এ বি পাল, অবসরপ্রাপ্ত আইএফএস আধিকারিক প্রসেনজিৎ  বিশ্বাস এবং আইনজীবী চন্দ্রশেখর সিনহা। এটি পাল ছাড়া বাকি দুই সদস্য যথারীতি রাজ্য সরকারকে রিপোর্ট জমা দেন। আইনজীবী চন্দ্রশেখর সিনহা বলেন ১০,৩২৩ এর সমস্যা একটি জ্বলন্ত সমস্যা। হাইকোর্ট থেকে এই মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট ২০২০ সালের ৫ আগস্ট সমস্ত মামলাগুলিকে একত্রিত করে উচ্চ আদালতের রায় বিবেচনা করে রায় ঘোষণা করে। তিনি আরো বলেন সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কোন সমালোচনা করেনি অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্যরা। রায়ের সমস্ত দিক বিবেচনা করে রিপোর্ট প্রদান করা হয়েছে। এক্ষেত্রে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে সরকার তাদের পলিসি নির্ধারণ করে ১০,৩২৩ এর চাকরির ব্যবস্থা যেন করেন। তারা চাকরি পাওয়ার যোগ্য। ১০,৩২৩ -কে নিয়ে কিছু করার সরকারের সদিচ্ছার মাধ্যমে পরিলক্ষিত হয় বলে জানান অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য আইনজীবী চন্দ্রশেখর সিনহা।

এবার সরকার কি সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় সেই বিষয়টি স্থির করবে বলে জানান তিনি। তাহলে কি পুনরায় শিক্ষকতার চাকরি পেতে চলেছেন ১০,৩২৩ শিক্ষকরা ? তবে এটা সরকারের পরবর্তী সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ত্রিপুরা উচ্চ আদালতে প্রায় তাদের চাকরি চলে যায়। তৎকালীন বাম সরকার তাদের এডহক শিক্ষক হিসেবে ২০২০ সালে ৩১ মার্চ পর্যন্ত চাকরিতে বহাল রাখে। তারপর পুরো দমে তারা ময়দানে নেমে আন্দোলন শুরু করে। অনশন মঞ্চ থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী বাড়ি ঘেরাও এবং বিভিন্ন ভাবে সরকারে কাছে আন্দোলন করে চাকুরির দাবি জানান। কিন্তু যতবারই রাস্তায় নেমেছে ততবারই লাঠিপেটা না হলে জলকামান খেতে হয়েছে চাকুরিহারা এই শিক্ষকদের। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে আগে ১০,৩২৩ চাকুরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে বর্তমান জোট সরকারের কোন প্রতিশ্রুতিও ছিল না। অবশেষে গত জানুয়ারি মাসে এই অ্যাডহক কমিটিতে গঠন করা হয়। কিন্তু তিনজনের কমিটিতে ছিলেন বিচারপতি এবি পাল। তিনি সরকারের কমিটি গঠন নিয়ে আপত্তি করেন। কিন্তু লক্ষ্য করা গেছে অবসরপ্রাপ্ত আই এফ এস আধিকারিক প্রসেনজিৎ বিশ্বাস এবং আইনজীবী চন্দ্রশেখর সিনহা এই রিপোর্টটি সরকারের ঘরে জমা করেছেন।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য