Thursday, March 28, 2024
বাড়িরাজ্যরেশন কার্ডের চটি বই পাল্টে হবে স্মার্ট কার্ড, গুচ্ছ ঘোষণা মন্ত্রী সুশান্ত...

রেশন কার্ডের চটি বই পাল্টে হবে স্মার্ট কার্ড, গুচ্ছ ঘোষণা মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর

আগরতলা, ২৯ মার্চ (হি. স.) : ত্রিপুরায় রেশনিং ব্যবস্থায় মিলবে মিলেট। এমনই চিন্তাভাবনা করছে ত্রিপুরা সরকার। তাছাড়া, জেলাভিত্তিক খাদ্য দফতরের পরিকাঠামো গঠন, রেশন কার্ডের চটি বই পাল্টে স্মার্ট কার্ডে রূপান্তর, ৭৬৫টি রেশন শপ-কে মডেল রেশন শপে পরিণত এবং রেশন ডিলার সহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য বিমার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকার। সর্বোপরি খাদ্য ও জনসংভরণ দফতরকে নিগমে রূপান্তরের প্রয়াস নেবে ত্রিপুরা সরকার।

 আজ সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে খাদ্য ও জনসংভরণ দফতরের গুচ্ছ সিদ্ধান্তের ঘোষণা দিলেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। তাঁর সাফ কথা, খাদ্য দফতর নিগমে রূপান্তর করা হলেও রেশনিং ব্যবস্থা সম্পূর্ণই ত্রিপুরা সরকার পরিচালনা করবে। শুধু কাজের সুবিধার্থে এবং নিগমের মাধ্যমে ব্যবসার জন্য ওই প্রয়াস নেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে।

এদিন তিনি বলেন, ত্রিপুরায় মানুষ রেশন সামগ্রী থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন না। প্রত্যেকেই সময়মতো রেশন সামগ্রী পেয়ে যাচ্ছেন। তাঁর কথায়, প্রাক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির অঙ্গ হিসেবে খুব শীঘ্রই রেশনে সরিষার তেল সরবরাহ করা হবে। এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পদাঙ্ক অনুসরণ করে মিলেটের ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য জোর দেবে ত্রিপুরা সরকার। তাঁর দাবি, রেশনে মিলেট সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে ত্রিপুরা সরকার। কারণ, গরীব অংশের মানুষ মিলেটের সুফল থেকে বঞ্চিত না হন, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের চিন্তাভাবনা চলছে।

খাদ্য মন্ত্রীর মতে, বর্তমানে প্রতিটি মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে খাদ্য ও জনসংভরণ দফতরের কাজকর্ম চলছে। অধিকর্তার কার্যালয় বাদে দফতরের নিজস্ব কোন পরিকাঠামো নেই। তাই, সিদ্ধান্ত হয়েছে, জেলাভিত্তিক খাদ্য দফতরের পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে। মহকুমাকে জেলার মাধ্যমে কাজ করতে সুবিধা হবে। সাথে তিনি যোগ করেন, রেশন কার্ডের চটি বই মান্ধাতা আমল থেকে চলছে। অনেক সময় ওই বই ছিড়ে গেলে ভোক্তাদের অসুবিধার সম্মুখিন হতে হচ্ছে। তাই, রেশন কার্ডের ওই চটি বই স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

এদিন তিনি বলেন, ত্রিপুরায় ২০৪৮টি রেশন শপ রয়েছে। তার মধ্যে ৭৬৫টি রেশন শপ-কে মডেল রেশন শপে পরিণত করা হবে। তার জন্য প্রত্যেক রেশন ডিলারকে ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেবে খাদ্য দফতর। ওই রেশন শপ-কে আধুনিক বানাতে বাকি খরচ ডিলারকেই বহন করতে হবে।

আজ খাদ্য দফতরের এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। তিনি বলেন, খাদ্য ও জনসংভরণ দফতরকে নিগমে রূপান্তর করা হবে। দফতর থাকবে ঠিকই, উপর্যপূরি নিগম সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে। এক্ষেত্রে খাদ্য অধিকর্তার সাথে নিগমের পরিচালন অধিকর্তাও খাদ্য দফতরের কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তাঁর দাবি, নিগমের সহায়তায় ব্যবসা হবে। যেভাবে পরিবহণ, বিদ্যুত, কৃষি দফতর নিগমের সহায়তায় ব্যবসা করছে। তাঁর সাফ কথা, গণবণ্টন ব্যবস্থা নিগমে হস্তান্তর হবে না। ত্রিপুরা সরকারই গণবণ্টন ব্যবস্থার সম্পূর্ণ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে।এদিকে, রেশন মিত্র প্রবীণ ভোক্তাদের বাড়িতে রেশন পৌছে দেবে, এমনই পরিকল্পনা রয়েছে খাদ্য দফতরের। তাঁর কথায়, বহু প্রবীণ ভোক্তা রয়েছেন রেশনে গিয়ে সামগ্রী সংগ্রহে অসুবিধার সম্মুখিন হন। তাঁদের জন্য রেশন মিত্র বাড়িতে সামগ্রী পৌছে দেবে। সাথে তিনি যোগ করেন, ত্রিপুরা সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০৪৮ জন রেশন ডিলার এবং তাঁদের পরিবারকে স্বাস্থ্য বিমার আওতায় আনা হবে। খুব শীঘ্রই এবিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে খাদ্য ও জনসংবরণ দফতর।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য