স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১২ মার্চ : অম্পিনগরের পর মথার তান্ডব লীলা সংঘটিত হয় ১১ মান্দাই বাজার বিধানসভা কেন্দ্রের বণিক্য চৌমুহনী স্থিত খাস নোয়াগাঁও এলাকায়। মারধর করে শাসক দলের কর্মী সমর্থকদের। প্রকাশ্যে দিবালোকে মথার এই তান্ডব লীলায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে নোয়াগাঁও স্থিত মিশ্র বসতি এলাকায়। উল্লেখ্য, সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ৩২ টি আসন পেয়ে জয়ী হয়েছে। শুক্রবার ছিল তাদের সারা রাজ্যে বিজয় মিছিল। সবকটি বিধানসভা কেন্দ্রে এদিন সকাল থেকে শুরু হয় বিজয় মিছিল। একইভাবে মান্দাই বিধানসভা কেন্দ্রের যুব মোর্চার কর্মীরা বিজয় মিছিলে অংশ নেয়।
বিজয় মিছিলে পর ভাত খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সেই সময় এসে এলোপাথাড়ি আক্রমণ সংঘটিত করে তিপ্রা মথার আশ্রিত দুর্বৃত্তরা। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, এলাকায় এদিন শাসক দল বিজেপির বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলের পর নোয়াগাঁও এলাকায় এক বাড়িতে কর্মী সমর্থকদের খাওয়ার আয়োজন করা হয়। কিন্তু আচমকাই তিন থেকে চার শতাধিক তিপ্রা মথার দুর্বৃত্তরা দা শাবল শহর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় শাসক দলের বিজয় উল্লাসের উপর। ঘটনায় বেশ কয়েকজন যুব মোর্চার কর্মী সমর্থক গুরুতর আহত হয়। যুব মোর্চার সভাপতি জানান, তিপ্রা মথার দুর্বৃত্তরা তাকে মারধর করে গলার স্বর্ণের চেইন এবং তার বাইক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এদিন যাদের নেতৃত্বে এই ঘটনা সংঘটিত হয়েছে তারা হলো তিপ্রা মথার সুবোধ দেববর্মা, অনিল দেববর্মা, সুনীল দেববর্মা, পীযূষ দেববর্মা, সূচি দেববর্মা এবং জেমস কলই। মথার কর্মীরা যাওয়ার সময় হুমকি দিয়ে যায় যদি তারা সরকারে আসতো তাহলে এডিসি এলাকায় সাধারণ মানুষকে থাকার জন্য সুযোগ দিত না। এ ধরনের হুমকির পর মিশ্র বসতি এলাকার মানুষ ব্যাপক আতঙ্কিত হয়ে যায়। কিন্তু প্রশ্ন হলো কার প্রশ্রয়ে এ ধরনের ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে মিশ্র বসতি পূর্ণ এলাকাগুলোতে? অতীতে ১৯৮০ সালের পর এ ধরনের ঘটনার সাক্ষী ছিল না রাজ্যের ইতিহাস। শাসক দলের নেতাদের চরম প্রশ্রয়ে দলের কর্মীরা ও সাধারণ কার্যকর্তারা এবার ব্যতিব্যস্ত। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ থেকে বসে সামাজিক মাধ্যমে এসে বড় বড় কথা বলা নেতারা সে বিষয়গুলি উস্কে দিয়ে ব্যাপক জটিলতা সৃষ্টি করার ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিমত রাজনৈতিক মহলের। প্রশাসন যদি অবিলম্বে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে ঘটতে পারে অপ্রীতিকর ঘটনা। তখন এর জন্য দায়ী হতে পারে দুই দলের স্যুট কোর্ট পড়া বাবুমশাইরা। এখন দেখার পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত অভিযুক্তদের জালে তুলতে সক্ষম হয় কিনা।