স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২১ ডিসেম্বর : ভাওতাবাজী করে ত্রিপুরায় আর রাজনীতি করা যাবে না।শ্রমিক, ইউনিয়ন, আন্দোলন , অধিকার এই শব্দগুলি এবং তার সঙ্গে যুক্ত মানুষদের উপর অধিকার কেবল কমিউনিস্ট নামী ব্যবস্থায় রয়েছে। দীর্ঘ ২৫ রাজ্যে এগুলি ব্যবহার করে রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধি করত কমিউনিস্ট। শুধু রাজ্যে নয় সমগ্র বিশ্বে এই কাজ করে গেছে। দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থেকে ই-পোর্টাল করে নি।
সি এস সি-র মাধ্যমে প্রত্যেকটি গ্রামে শ্রমিকরা যাতে নাম নথিভুক্ত করে নিজের অধিকার নিতে পারে এই কাজ এতদিন কেন করে নি। শ্রম দপ্তরের উদ্যোগে মঙ্গলবার রবীন্দ্র ভবনে অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের ই শ্রম কার্ড প্রদানের জন্য বিশেষ অভিযানের উদ্বোধন করে এমনটাই প্রশ্ন তুলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। বর্তমানে ১২০০ সি এস সি সেন্টারের মাধ্যমে এই ব্যবস্থা কার্যকর হয়েছে। আগে নির্মাণ শ্রমিকরা তাদের সঙ্গে আন্দোলন করতেন। মিছিলে হাঁটতেন। কিন্তু শ্রমিকদের জীবন মান উন্নয়ন হয়নি। রাজ্যে ১ লক্ষ উপর নির্মাণ শ্রমিক রয়েছে। কোভিডের সময় এই শ্রমিকদের জন্য ৩ হাজার টাকা করে প্রদানের ঘোষণা করা হয়। অথচ এই সুবিধা নিতে পেরেছে মাত্র ৪০ হাজার শ্রমিক। শ্রমিকদের একাউন্ট অ্যাক্টিভ ছিল না। এই দায় এড়াতে পারে না পূর্বতন সরকার বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। শ্রমিকদের নামে নেতা হয়ে বড় বাড়ি, বড় গারি এবং দলের মুনাফা ছাড়া আর কিছুই করেনি কমিউনিস্ট সরকার। আগের শ্রমিক নেতা হিসাবে জাহিড় করে যারা মন্ত্রী হয়েছিলেন তাঁদের মাঠে নেমে ধান কাটতে দেখা যেত না। এই ছবি বর্তমান সরকারের আমলে দেখা যায়। শ্রমিকদের শোষণ করে বাড়ি ও সাততলা দলীয় কার্যালয় নির্মাণ করত কমিউনিস্ট নেতারা। চাঁদাবাজি থেকে মুক্তি পেয়েছে রাজ্যের মানুষ। তবে এখনো কিছু চাঁদা সংগ্রহ করা হয়। বিনিয়ের সঙ্গে কেউ চাঁদা নিতে পারে। কিন্তু জুলুম বাজী চলবে না বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অন্তিম ব্যক্তির সরকার চলছে। মিছিল, মিটিং , পদলেহন ও অনুনয় বিনয় পাওয়ার জন্য দীর্ঘ দিন শ্রমিকদের পরিষেবা প্রদান করা হয় নি রাজ্যে। ৫০ বছর রাজ্যের শ্রমিকদের সঙ্গে এই কাজ করা হয়েছে। কমিউনিস্টরা বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ। তবে এই ধরনের রাজনীতি ত্রিপুরায় চলবে না। ঝাঁপ বন্ধ হয়ে যাবে। দিন বদলে গেছে। ভাওতাবাজী করে ত্রিপুরায় আর রাজনীতি করা যাবে না। দল দাসের উর্ধে উঠে সবকা সাথ সবকা বিকাশের চাকুরী দিচ্ছে বর্তমান সরকার বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। সি এস সি –র মাধ্যমে ১৪১ টি সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। ১২০০ সি এস সি থেকে ৪ থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত মাসিক রোজগার করছেন অনেকেই। এর জন্য অতিরিক্ত কোন টাকা দিতে হয় না কাউকেই। কিছুদিন আগে পুর ও নগরের নির্বাচনের সময় মিথ্যা রটানো হয়েছিল ত্রিপুরাকে বদনাম করতে। ত্রিপুরাকে পিছিয়ে দিতে ষড়যন্ত্র করে ছিল তারা। শান্তি না থাকলে উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু ৩৭ লক্ষ ত্রিপুরাবাসী তাদের যোগ্য জবাব দিয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। শ্রীদেব রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে আরো বলেন, অতীত ভুলে গেলে চলবে না। নয়তো সেই দুষ্ট শক্তি আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে। ক্ষমতা দখল করে জুলুম করবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে ভিলেজ লেভেল ইন্টারপ্রেনারসিপ হিসাবে সাফল্য অর্জনকারী তিন জনকে পুরস্কৃত করা হয়। পাশাপাশি এদিন ই শ্রম পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন করানোর ক্ষেত্রে উত্তরজেলা, ঊনকোটি এবং পশ্চিম জেলাকে পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শ্রম দপ্তরের মন্ত্রী ভগবান দাস সহ দপ্তরের আধিকারিকরা।