স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৯ মার্চ : শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর বিজয় মিছিলের জন্য টাকা চেয়ে না পেয়ে ট্র্যাভেলসের কাউন্টের ব্যপক ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। ঘটনা আগরতলা চন্দ্রপুর আই এস বি টি -র মধ্যে। অভিযোগ ক্যাশ বাক্স ছিনিয়ে নিয়ে লুট করা হয় ৭০ হাজার টাকা।
দুষ্কৃতীদের তান্ডবে ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় চন্দ্রপুর আই এস বি টি স্থিত শেরোয়ালী ট্যুর এন্ড ট্র্যাভেলসের টিকিট কাউন্টারটি। বৃহস্পতিবার ক্ষোভ প্রকাশ করেন ব্যবসায়ীরা। তারা জানান এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করবেন। প্রতিমাসে টি আর টি সি-কে দশ হাজার টাকা করে ভাড়া প্রদান করেন তিনি। তাই টি আর টি সি-র চেয়ারম্যানকে এই আক্রমণের বিষয়ে অবগত করে একটি চিঠি দেবেন বলেও জানান তিনি। আরো জানান গত দুই বছর যাবত স্রীমা ট্র্যাভেলস নামে অপর একটি এজেন্সি তাদের সাথে শত্রুতায় লিপ্ত হয়। নানান সময়ে শ্রীমা ট্র্যাভেলসের মাধ্যমে হুমকী দেওয়া হচ্ছিল বলেও অভিযোগ করেন তিনি। প্রায়শই যাত্রীদের নিয়ে ছিনিয়ে নিয়ে যায় স্রীমার কর্মীরা। গোটা চন্দ্রপুর আই এস বি টি জুড়ে তাদের রাজত্ব চলবে বলে অলিখিত ঘোষণা দেয়। এই অবস্থায় আক্রমণের ঘটনায় সরাসরি শ্রীমা ট্র্যাভেলসের কর্মীরা যুক্ত বলে অভিযোগ করেন তিনি। শেরোয়ালী ট্যুর এন্ড ট্র্যেভেলসের মোট গাড়ির সংখ্যা ১২ টি। মোট ৪৮ জন কর্মী এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। এই ধরনের আক্রমণের ঘটনা ঘটলে ব্যবসা বন্ধ করে নিতে বাধ্য হবেন তিনি। এতে বিপাকে পড়বেন এই ৪৮ টি পরিবারের সদস্যরা। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে চন্দ্রপুর আই এস বি টি -তে যায় পূর্ব থানার পুলিশ। একটি মামলা গ্রহণ করে পুলিশ। এদিকে এই ঘটনার পেয়ে এদিন চন্দ্রপুর আই এস বি টি –তে যান মেয়র দীপক মজুমদার। ক্ষতিগ্রস্থ শেরোয়ালী ট্যুর এন্ড ট্র্যাভেলসের টিকিট কাউন্টারটি ঘুরে দেখেন তিনি। কথা বলেন শেরোয়ালী ট্যুর এন্ড ট্র্যাভেলসের প্রয়াত মালিকের জামাতা দেবব্রত গোপের সঙ্গে। একই সঙ্গে চন্দ্রপুর আই এস বি টি- র অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেন।
পরে মেয়র জানান আই এস বি টি চালায় টি আর টি সি। শেরোয়ালী ট্যুর এন্ড ট্র্যাভেলসের টিকিত কাউন্টারটি সরকারী অনুমোদীত। এই অবস্থায় কাউন্টারে প্রবেস করে সম্পত্তি নষ্ট করা কোন ভাবেই কাম্য নয়। এটা নিন্দনীয় ঘটনা। ইতিমধ্যেই থানায় মামলা করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্ত মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুলিশ। এই আশা ব্যক্ত করেন তিনি। একই সঙ্গে বলেন সুন্দর ভাবে পরিবহণ ব্যবস্থার পরিচালন চলছে চন্দ্রপুর থেকে। তাঁকে নষ্ট করতে এই ধরনের কর্মকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। জানা গেছে ঘটনার খবর পেয়ে বিজেপি-র রাজ্য সম্পাদীকা পাপিয়া দত্ত এবং কাউন্সিলার হিরালাল দেবনাথ ইতিমধ্যেই পরিদর্শন করে গেছেন। একই রকম ভাবে ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন তারা। মেয়র এদিন স্পষ্ট করে দেন যারা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এবং সরকারকে কালিমালিপ্ত এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। হিংসার ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না বলে জানান তিনি।