স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৪ মার্চ : গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মানুষ শান্তি সম্প্রীতি চায়। শান্তি সম্প্রীতির জন্যই গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ সরকার প্রতিষ্ঠিত করে। কিন্তু ভোটে ফলাফলের পরিণাম যদি সন্ত্রাস হয়ে উঠে, তাহলে এটা শান্তিপ্রিয় মানুষের কাছে দুর্বিসহ বলা চলে। প্রশাসনিক পক্ষ থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কাগজে-কলমে যথেষ্ট আন্তরিকতা দেখানো হচ্ছে।
কিন্তু প্রকাশ্যে চলছে সমস্ত সন্ত্রাস রাজ। বৃহস্পতিবার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকে সারা রাজ্যের মতো পশ্চিম জেলাতেও সন্ত্রাসের ঘটনা সংগঠিত হয়ে চলেছে। পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে মানুষের বাড়ি ঘর, ভাঙচুর হচ্ছে দোকানপাট গাড়ি। আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন দলের কর্মীরা। পরিস্থিতি বেগেতিক দেখে শুক্রবার দুপুরে পশ্চিম জেলা শাসক দেবপ্রিয় বর্ধন ১৪৪ ধারা জারি করেছিল ১২ ঘণ্টার জন্য। একইভাবে শনিবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে ৫ মার্চ সকাল ছয়টা পর্যন্ত জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। পশ্চিম জেলায় বলবৎ থাকবে এই নির্দেশিকা।
এ সময়ের মধ্যে পাঁচজন বা পাঁচজনের অধিক যাতায়াত করতে পারবে না। কোন জায়গায় জমায়েত করা যাবে না। ধারালো অস্ত্র, বাশ , পাথর সহ সন্ত্রাসের কাজে ব্যবহৃত কোন সামগ্রি বহন করা যাবে না। দুটি বাইক এসাথে চলাচল করতে পারবে না। আরক্ষা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়গুলি নজর রাখার জন্য পশ্চিম জেলা শাসক নির্দেশ দিয়েছেন আরক্ষা প্রশাসনকে। কঠোর হস্তে সন্ত্রাস দমন করার জন্য নির্দেশ রয়েছে। যারা আইন লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে আই পি সি -এর ১৮৮ ধারা অনুযায়ী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে ১৪৪ ধারা জারি থাকার পরেও পশ্চিম জেলাতেও বিক্ষিপ্ত কিছু সন্ত্রাসের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। তবে পরিস্থিতি ১৪৪ ধারা দিয়ে কতটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সফল হচ্ছে জেলা প্রশাসন, এটা জনগণ ভালো বলতে পারবে।