স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২ মার্চ : দিনের শুরুটা খুব একটা স্বস্তি দিয়ে শুরু হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে স্বপ্ন ভেঙে চুরমার বামেদের। জয় আশা ছিল নিশ্চিত। যতটা ভালো ফল হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু হয় নি। যা ছিল অবাঞ্ছিত। পরবর্তী সময়ে বিবৃতি জারি করে অজুহাত দিলো বামেরা।
বিবৃতিতে বলে অল্প আসনের ব্যবধানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।এটা সম্ভব করতে বিজেপি অকল্পনীয় অর্থশক্তি ব্যবহার করেছে। বিভিন্ন পদ্ধতিতে প্রশাসনকে কাজে লাগিয়েছে। জয়ের জন্য অনেক আগে থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকারকে কাজে লাগিয়েছে। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি’র ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর পক্ষ থেকে অবিজেপি রাজনৈতিক দল সমূহের প্রার্থীদের যারা ভোট দিয়েছেন তাদের আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জানায় এদিন। অভিযোগ তুলে আরো বলেন, দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে চলতে থাকা একদলীয় স্বৈরশাসন ও ফ্যাসিস্টসুলভ সন্ত্রাসের মুখোমুখি দাঁড়িয়েই মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টির যে সকল কর্মী সমর্থক ও শুভাকাঙ্খী গণতন্ত্র, শান্তি-সম্প্রীতি এবং আইনের শাসন ফিরিয়ে আনতে এই নির্বাচনি সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছেন তাদের আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানান। গণতন্ত্র ও মানুষের খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার সংগ্রামের একটি পর্যায় এই নির্বাচনি লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রান্ত হলো।
কিন্তু আসছে দিন – সামনের দিন জনস্বার্থে, রাজ্যের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে আরও বৃহত্তর ও ব্যাপক পরিসরে জনগণের সংগ্রাম গড়ে তুলতে মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টি ক্ষান্তিহীন প্রয়াস অব্যাহত রাখবে বলে বিবৃতিতে প্রকাশ করা হয় এদিন। এদিন আরো অভিযোগ করে বলেন, ভোটের ফল গণনার দিন রাজ্যের কোনও কোনও গণনা কেন্দ্রে এবং ভোট গণনা কেন্দ্রের লাগোয়া এলাকায় শাসক দলের কর্মীদের একাংশ প্ররোচনা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। বিরোধী দলের কর্মীদের দৈহিকভাবে আক্রমণের চেষ্টা করেছেন, বিরোধী দলের অফিস আক্রমণের চেষ্টা করেছেন এবং সার্বিকভাবে পরিবেশকে উত্তপ্ত করে তোলার চেষ্টা করেছে। এটা কোনওভাবেই কাম্য নয় বলে জানান।