স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২ মার্চ : ৩২ আসন পেয়ে শেষ আবির খেললো বিজেপি। সঙ্গী আই পি এফ টি পেয়েছে ৬ টির মধ্যে ১ টি আসন। ১১ আসনে বামফ্রন্ট এবং ৩ আসনে কংগ্রেস জয়ী হয়ে প্রত্যাশিত রথ থেমে যায় বামগ্রেসের। তবে ত্রয়োদশ বিধানসভা নির্বাচনে ১৩ আসনে প্রথমবার খাতা খুলতে সক্ষম হয় তিপ্রা মথা। ত্রিপুরায় গত বিধানসভা নির্বাচনের মতোই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে শাসকদল বিজেপি। কিন্তু এবার বহুমুখী লড়াইয়ে জয়ের রথ ৩০ -এর গণ্ডি অতিক্রম করে ৩২ -এ থেমে গেছে জয়ের রথ। আর এটাই বিজেপির জন্য চমক। জয় নিয়ে আশা এক প্রকার ভাবে ছেড়ে দিয়েছিল দিল্লির নেতারা। ভোটের আগে ঘাঁটি করে বসেছিল ত্রইপউরআয়। একদিন বাদে দুবার আসতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। ভেবেছিল মূল লড়াই হবে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের সাথে।
কিন্তু দেখা গেছে বের হতেই ভাজপার গলার কাটা হয়ে দাঁড়ায় তিপ্রা মথা। আগে থেকেই তিপ্রা মথাকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছিল বিজেপি। রাষ্ট্রীয় সভাপতি মথার গোটা টিমকে উড়িয়ে দিল্লি পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু পৃথক রাজ্যের দাবি দিল্লির হাই কমান্ড লিখিতভাবে মেনে না নেওয়া পৃথক লড়াই করেছে বিজেপি। যার দরুন বিধানসভা নির্বাচনে পাহাড় প্রত্যাশায় না রেখে লড়াই করেছে বিজেপি। যার ফলে গেরুয়া শিবিরের বড়সড় পরাজয় ১৩ আসনে। যাইহোক প্রত্যাশামতোই ত্রিপুরায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বিজেপি এবং আইপিএফটির জোট। তাদের মোট প্রাপ্ত আসনের সংখ্যা ৩৩। সরকার গড়তে ৩১টি আসন দখলের দরকার ছিল। জোটবদ্ধ বিজেপি তার থেকেও দু’টি আসন বেশি পেয়েছে। কিন্তু গত বার এই বিজেপিই ত্রিপুরার ৬০টি আসনের মধ্যে ৪৪টিতে জিতে রাজ্যের ক্ষমতায় এসেছিল। বাকি ১৬ টি পেয়েছিল প্রাক্তন শাসক বামফ্রন্ট। কংগ্রেস, তৃণমূল সে বার ভোটে খাতাই খুলতে পারেনি। এ বারের নির্বাচনে বামফ্রন্টের আসন আরও কমেছে। তৃণমূল এ বারও খাতা খুলতে পারেনি। তা হলে বিজেপির ভোট গেল কোথায়? দেখা যাচ্ছে, ওই ভোট পেয়েছে রাজার দল তিপ্রা মাথা। প্রথম বার বিধানসভা নির্বাচনে লড়েই ১৩ টি বিধানসভা আসন জয় করেছে তারা। উঠে এসেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হিসাবে। মূলত উপজাতি এলাকার সবক’টি আসনই জিতেছে রাজা প্রদ্যোৎ বিক্রম মাণিক্য দেববর্মণের দল। এই উত্থান কি হওয়ার কথা ছিল?