স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৬ ফেব্রুয়ারি : খেলবো হোলি রঙ দেবো না। ৮ মার্চ রং খেলা। রঙ খেলাকে ঘিরে বাজারে এসেছে রঙ-বে রঙের আবির। কিন্তু আগামী দুই মার্চ থেকে ত্রিপুরায় রঙ খেলাটা শুরু হয়ে যাবে। কারণ এই দিন ত্রয়োদশ বিধানসভার ভোটের ফলাফল ঘোষণা হবে। ব্যবসায়ীরাও এটা বুঝতে পেরে বাজারে আমদানি করেছে প্রচুর পরিমাণে আবির। তবে সেদিন কি রঙয়ের আবির উড়বে সেটা জানা নেই। তারপরেও গেরুয়া, লাল এবং সাদা তিনটি রঙিন বাজারে আমদানি হয়েছে প্রচুর পরিমাণে। এবং বিক্রিও হচ্ছে ভালো। দোকানের সামনে পসরা সাজিয়ে বসে আছেন দোকানিরা।
এই তিনটি রঙ বাজারে চড়া মূল্যে বিক্রি হতে দেখা যায় রবিবার। অন্যান্য আবির থেকে এই তিনটি রঙের মূল্য প্রায় প্রতি কিলো ৩০ – ৪০ টাকা বেশি। এক রঙ বিক্রেতা জানান, অন্যান্য বছরে তুলনায় এবার রঙয়ের মূল্য কিছুটা ব্যতিক্রম রয়েছে বাজারে। সব রঙের তুলনায় লাল এবং গেরুয়া রঙের মূল্য বেশি। প্রতি কিলোতে ১৪০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য রঙের মূল্য বাজারে অনেকটাই কম। অর্থাৎ হলুদ, নীল, সবুজ রঙ গুলির মূল্য পাইকারি ১২০ কোটি টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের দাবি আগামী দুতিন দিনের মধ্যে লাল এবং গেরুয়া রঙের মূল্য আরো বেশি চড়াও হবে। সুতরাং বাজারে লাল এবং গেরুয়া রঙের চাহিদা অনুযায়ী আমদানি করা যাচ্ছে না। তবে এক ব্যবসায়ী জানান মানুষে চাহিদা বেশি রয়েছে লালের দিকে। অন্যান্য রঙের তুলনায় লাল রঙটি দুই বস্তা অধিক নেওয়ার আগ্রহ দেখা যাচ্ছে মানুষের মধ্যে। তবে লাল গেরুয়া যা হোক না কেন মাঝে আর মাত্র তিন দিন বাকি।
যারাই এই রঙগুলি কিনছে তারাই ধরে নিয়েছে সরকারে ফিরবে। ব্যবসায়ীদের কাছে অগ্রিম ইঙ্গিত রয়েছে। তাই ব্যবসায়ীরা এবার ইঙ্গিত বুঝে বাজারে দু একটি রঙয়ের মূল্য আকাশছোঁয়া করে রেখেছে। তবে কারা খেলবে হোলি সেটা নিশ্চিত নয়। কিন্তু মহারাজগঞ্জ থেকে যে রঙ কেনার ধুম চলছে সেটা বুঝা গেল ব্যবসায়ীদের কথাবার্তায়। আবার কিছু কিছু ব্যবসায়ীরা সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা দেখে মুখ লুকিয়েছে। যাই হোক প্রত্যাবর্তন আর পরিবর্তন, যা হবে হলি উৎসবের আগেই রাজ্যে হোলি খেলায় মাতোয়ারা হয়ে উঠবে একাংশ মানুষ। তাই দলের প্রতি প্রত্যাশা রেখে আগে থেকেই রঙ মজুদ করে রাখছে বহু অত্যুৎসাহী। তবে শেষ কোন রঙ দিয়ে আগামী দুই মার্চ হোলি খেলা হবে সেটা বলা মুশকিল।