Saturday, February 8, 2025
বাড়িরাজ্যশিক্ষাব্যবস্থা বেসরকারিকরণ করার আইন প্রত্যাহারের জন্য আন্দোলনের হুঁশিয়ারি আশিস দাসের

শিক্ষাব্যবস্থা বেসরকারিকরণ করার আইন প্রত্যাহারের জন্য আন্দোলনের হুঁশিয়ারি আশিস দাসের

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৬ ডিসেম্বর : ২০১৮ সালে বিজেপি প্রতিষ্ঠিত হয়ে কোনো প্রতিশ্রুতি পালন না করে একের পর এক জনবিরোধী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে। এর মধ্যে বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পের নাম করে সরকার শিক্ষাব্যবস্থাকে বেসরকারিকরণ করতে চাইছে। আর এই প্রকল্পটি নাম করে মন্ত্রীর রতন লাল নাথ এবং সুশান্ত চৌধুরী মানুষকে ভুল ভাবে ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। তাই বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্প আইন প্রত্যাহার করতে মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে গত বুধবার।

কিন্তু ২৪ ঘন্টার মধ্যে হয়ে গেলেও তাদের কাছ থেকে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি। কিন্তু সরকার যদি এ আইন অবিলম্বে প্রত্যাহার না করে তাহলে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও লড়াই করেই এ আইন প্রত্যাহার করা হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করে হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব আশিস দাস।

তিনি বলেন শিক্ষা হলো মানুষের মৌলিক অধিকার। এই মৌলিক অধিকার খর্ব করতে চাইছেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী এবং রাজ্য সরকার। কিন্তু প্রশ্ন হলো সরকার এবং শিক্ষা মন্ত্রীকে এই অধিকারকে দিয়েছে ? রাজ্যে এম বি বি বিমানবন্দর পর্যন্ত বেসরকারিকরণ করতে চাইছে সরকার। সরকারের এ ধরনের বেসরকারিকরণ নীতি মানা হবে না। যদি সরকার শিক্ষা বেসরকারিকরণ করে তাহলে ৯০ শতাংশের ছেলে মেয়ে পড়াশোনা করতে পারবে না। কারণ রাজ্যে বর্তমানে বেসরকারি স্কুলগুলোতে নার্সারিতে ভর্তি করতে ৪০ হাজার টাকা লাগে। সেসব স্কুল যখন দীর্ঘ কয়েক বছর আগে খোলা হয়েছিল তখন কম টাকা সংগ্রহ করে স্কুলগুলিতে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করানো যেত। এখন মোটা অংকের বিনিময়ে পড়াশোনা করতে হয় সেসব স্কুলে। কিন্তু সরকার যদি এখন সরকারি স্কুলগুলিকে বেসরকারিকরণ করে তাহলে গ্রামের মানুষ ছেলেমেয়েদের কিভাবে পড়াশোনা করাবে, তা এখন বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষা হলো জাতির মেরুদন্ড, আগামী দিনে অশিক্ষায় সমাজ অভিশাপ বানাতে সরকার তৎপর হয়ে উঠেছে। তাহলে রাজ্যের উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে যাবে। ৯০ শতাংশ মানুষ ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করাতে পারবে না। শ্রী দাস আরো বলেন মুখ্যমন্ত্রী নেতৃত্বে এ ধরনের তুঘলকী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর ভাবতে হবে তিনি যেভাবে পড়াশোনা করেছেন সে সময় যদি বেসরকারিকরণ করা হতো তাহলে তিনি পড়াশোনা করতে পারতেন কিনা। একইভাবে শিক্ষামন্ত্রীও পড়াশোনা করতে পারতেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এবং বলেন তৎকালীন সময়ে যদি বেসরকারিকরণ করা হতো শিক্ষাব্যবস্থা, তাহলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আর মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন না, শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ বিধায়ক পর্যন্ত হতে পারতেন না। কিন্তু বর্তমানে তারা সমাজ অভিশপ্ত করতে শিক্ষাব্যবস্থা বেসরকারিকরণ করতে চাইছে। তাই এই আইন প্রত্যাহার করতে হবে সরকারকে। নয়তো বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বলে হুঁশিয়ারি দেন আশিস দাস। এ লড়াই কোন নির্দিষ্ট একটি অংশের মানুষের নয়। প্রত্যেকের ঘরে ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। তাই আগামী প্রজন্মকে সুরক্ষিত করতে এ লড়াইয়ে সকলকে এগিয়ে আসতে আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি তিনি বাইক বাহিনীকেও নিজের ঘরের ছেলে মেয়ের কথা চিন্তা করে এগিয়ে আসতে আহ্বান জানান। এবং বলেন সরকারের এ ধরনের তুঘলুকি সিদ্ধান্তের জন্য বর্তমানে রাজ্যের স্কুলগুলিতে ছাত্রছাত্রীরা তালা দিয়ে ছাত্র আন্দোলনে শামিল হয়। তাই শিক্ষাব্যবস্থাকে যেন সরকার বেসরকারিকরণ না করে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করার চিন্তাভাবনা করে তার জন্য আহ্বান জানান শ্রী দাস।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য