স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৮ ফেব্রুয়ারি : কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৬ ফেব্রুয়ারি রাজ্য সফরে এসেছিলেন। তিনি বিজেপির অন্যতম নির্বাচনী কান্ডারী। কারণ কিভাবে কৌশল করে ভোটে জয়ী হওয়া যায় এবং কম আসন পেলেও ঘোড়া বেচাকেনা করে সরকারে আসা যায় তার মাস্টার হলেন অমিত শাহ। কিন্তু ত্রিপুরার মাটি যে কতটা বিজেপির জন্য নরম হয়ে এসেছে সেটা তিনি রাজ্য সফরে এসে বুঝতে পারছেন।
যার ফলে তার এই কৌশল কাজে আসবে কিনা সেটা নিয়ে তিনি সন্ধিহান। ত্রিপুরার জমি অমিত শাহের কাছে ভয়ের হয়ে উঠেছে। বুধবার সোনামুড়ায় নির্বাচনী সমাবেশে বক্স নগরের মনোনীত প্রার্থী শামসুল হকের হয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনটাই বললেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। বিজেপি ও আইপিএফটি জোট সরকার ত্রিপুরা গত পাঁচ বছরে মানুষের অধিকার হরণ করেছে। যতগুলি নির্বাচন হয়েছে সবগুলোতেই ভোট জালিয়াতি করে নির্বাচন প্রহসনে পরিণত করেছে। বিরোধীরা যাতে এর বিরুদ্ধে কোন কথা বলতে না পারে তার জন্য একদলীয় স্বৈরাচারী শাসন চালিয়েছে জোট সরকার। শুধুমাত্র তারাই ত্রিপুরায় কার্যক্রম করবে সেই লক্ষ্য ধারা নিয়ে এগিয়েছে। যার ফলে আইনের শাসন জঙ্গলে শাসনে পরিণত হয়েছে। এবং অপরাধীরা যখন যা করার ইচ্ছে তখনই তা করছে সরকারের আমলে। এই পরিস্থিতি কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পূর্ণ ত্রিপুরার মানুষ এর শাসন ব্যবস্থা মেনে নিতে রাজি নয়। মানুষ এই পরিস্থিতিতে থেকে বের হয়ে আসতে চাইছে। তাই এই দুঃশাসন থেকে বের হয়ে আসতে সম্মিলিতভাবে মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি এ সরকারের ভীষণ ডকুমেন্ট নিয়েও তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ২০১৮ সালের আগে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকারে এসেছিল বিজেপি এবং আই পি এফ টি জোট সরকার পাঁচ বছরের কাজের সাথে কোনটাই রুপায়ন হয়নি।
কিন্তু দেখা গেছে যেগুলো তাদের করার কথা ছিল না সেগুলি দিবারাত্রি করার চেষ্টা করছে। অর্থাৎ মানুষের উপর সন্ত্রাস নামিয়ে এনেছে। তাই এই পরিস্থিতি থেকে মানুষকে বের করে আনতে কংগ্রেসে জাতীয় স্তরের নেতৃত্ব কথা বলে আসন সমঝোতা করেছে বলে জানান বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। তিনি আরো বলেন রাজ্যের মানুষ বুঝতে পারছে ২০১৮ সালে নিজের পায়ে নিজে কুড়ুল মেরেছে। শুধু তাই নয় খাল কেটে কুমির এনেছে। আর এগুলি করা হয়েছে হাসের পেটে অনেকগুলি সোনার ডিম বলে। আর হাঁস কাটার পর দেখা গেল একটিও ডিম নেই। যা প্রলোভন ছাড়া আর কিছু নয়। মানুষ এখন বুঝতে পারছে আসল হাঁস মেরে ফেলেছে। তাই আসন্ন নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করে গোটা দেশকে বার্তা দিতে হবে যারা বিজেপি সরকারকে দেশ থেকে হটাতে চাইছে তাদের অংশীদার ত্রিপুরার ৪০ লক্ষ মানুষ বলে জানান বিরোধী দলনেতা। আয়োজিত সভায় এদিন এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মনোনীত প্রার্থী সহ স্থানীয় নেতৃত্ব এবং বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের কর্মী সমর্থক।