Saturday, April 20, 2024
বাড়িরাজ্যদমবন্ধকর পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসার একমাত্র রাস্তা আসন্ন নির্বাচন : জিতেন্দ্র...

দমবন্ধকর পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসার একমাত্র রাস্তা আসন্ন নির্বাচন : জিতেন্দ্র চৌধুরী

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৬ ফেব্রুয়ারি : রাজ্যের মানুষের চাহিদা এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে বিজেপিকে পরাস্ত করার জন্য ত্রিপুরা গণতান্ত্রিক দলগুলি এক ছাতার নিচে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সোমবার আগরতলা প্রেস ক্লাবে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এই বিষয়ে জানান দুই দলের নেতৃত্ব। সিপিআইএম রাজ্য কমিটির সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী জানান, বিজেপি গত পাঁচ বছর আগে মিথ্যার উপর ভর করে ক্ষমতা দখল করেছিল।

 কিন্তু রাজ্যে তারা ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে থেকেই বিজেপি ত্রিপুরা রাজ্যের সংবিধান এবং গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করতে অভূতপূর্বক ফ্যাসিস্ট সুলভ আক্রমণ নামিয়ে আনে। আর ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর প্রতিদিন সংবিধান প্রদত্ত নাগরিক অধিকার গুলির উপর আক্রমণ নামিয়ে আনে। গায়ের জোরে সমস্ত নির্বাচনী সংস্থাকে কব্জা করেছে এই বিজেপি। লোকসভা নির্বাচন সহ যতগুলি নির্বাচন গত পাঁচ বছরে যতগুলি নির্বাচন হয়েছে সবগুলো নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হয়েছে। এবং সবচেয়ে বড় বিষয় হলো গোটা দেশের মধ্যে রেকর্ড হয়েছে ত্রিপুরা রাজ্যে। যতগুলি ঘটনা সংঘটিত হয়েছে সেগুলোর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেনি। বরং কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টের কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত পাঁচ বছরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে ত্রিপুরা রাজ্যের গণতন্ত্র এবং সংবিধান পুরোপুরিভাবে অচল হয়ে পড়েছে।

তাই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষের জন্য এক দমবন্ধকর পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসার একমাত্র রাস্তা। তাই এই পথ অনুসরণ করতে গনতন্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলি এক ছাতার নিচে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে মতাদর্শের ফারাক আছে এবং থাকবে। কিন্তু তারপরও ভারতীয় জনতা পার্টির সরকারকে উৎখাত করে সমস্ত গণতান্ত্রিক দল গণতন্ত্রের বাতাবরণ ফিরিয়ে আনতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান জিতেন্দ্র চৌধুরী। গণতন্ত্রের পক্ষে, শান্তির পক্ষে রয়েছে গণতান্ত্রিক দলগুলি। এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রশাসন যেভাবে সুক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করার কথা ছিল সেভাবে গ্রহণ করছে না। কারণ গত কয়েকদিনে দেখা গেছে বিরোধী দলের কর্মী সমর্থক এবং প্রার্থীর উপর যেভাবে আক্রমণ হয়েছে তার বিরুদ্ধে বিজেপির দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ তুলেন তিনি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা জানান দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষ শোষিত এবং বঞ্চিত হয়ে আসছে। গণতন্ত্রের উপর আঘাত নামিয়ে এনেছে। কয়েক শতাধিক বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস কার্যালয় আক্রমণের শিকার হয়েছে এবং জবরদখল করে নিয়েছে বিজেপি দুর্বৃত্তরা। শুধু তাই নয় মানুষের উপর জুলুমবাজি নামিয়ে এনেছে। শ্বাসরুদ্ধ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বিজেপি ও আইপিএফটি জোট সরকারের আমলে। তাই জনগণের স্বার্থে এবং গণতন্ত্র রক্ষার জন্য বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস আসন সমঝোতা করেছে। ফলে মানুষ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। এই সরকারের বিদায় আসন্ন বলে জানান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। এদিকে জিতেন্দ্র চৌধুরী কৈলাসহর বিজেপি মনোনীত প্রার্থী মবস্বর আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন তিনি বিধায়ক পদ এবং সিপিআইএম দল থেকে পদত্যাগ না করে বিজেপিতে যোগদান করে প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এ বিষয়ে রিটার্নিং অফিসারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারপর দেখা গেছে গত চার ফেব্রুয়ারি বিধানসভা থেকে জানানো হয়েছে মবস্বর আলীর পদত্যাগপত্র ২৫ জানুয়ারি গৃহীত হয়েছে। আবার দেখা গেছে ৩১ শে জানুয়ারি পর্যন্ত মবস্বর আলীকে বেতন দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের গোজামিল এবং বেআইনি কাজের পেছনে আইনমন্ত্রী রতন লাল রাতে অঙ্গুলি হেলন রয়েছে। এক প্রকার জুমলা বলে দাবি করলেন জিতেন্দ্র চৌধুরী। তিনি আরো বলেন যিনি বিধানসভার দায়িত্ব পালন করছে তাকে দিয়ে এভাবে অসত্য এবং মিথ্যা বেআইনি কাজ করাচ্ছে এই সরকার বলেও অভিযোগ তুলেন তিনি। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এদিন এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্টের আহ্বায়ক নারায়ণ কর, কংগ্রেস নেতা আশীষ কুমার সাহা, জাতীয় কংগ্রেসের সম্পাদিকা জারিতা লাইফ্রাং সহ বামফ্রন্টের শাখা সংগঠনগুলি নেতৃত্ব।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য