Saturday, May 31, 2025
বাড়িরাজ্যসংসদে পেশ হওয়া বাজেট গরিব ও মধ্যবিত্তের সহায়ক বাজেট : বিজেপি

সংসদে পেশ হওয়া বাজেট গরিব ও মধ্যবিত্তের সহায়ক বাজেট : বিজেপি

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৪ ফেব্রুয়ারি : সংসদে পেশ হয়েছে ২০২৩-২৪ সালের বাজেট। এই বাজেটে পি এম বিকাশ নামে একটি প্রকল্পের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। যাতে ক্ষুদ্র, হস্তকারু শিল্পকে যুক্ত করা হয়েছে। উৎসাহিত করা এবং বাজার জাত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে ত্রিপুরার মত রাজ্য সরাসরি উপকৃত হবে। কৃসিতে ডাটা বেইস তৈরি করা হবে। ৬ হাজার কোটি টাকা মৎস চাষ ও পশু পালনের জন্য রাখা হয়েছে।

এই সিদ্ধান্ত গুলি রাজ্যের জন্য যথেষ্ট উপযোগী। এই বাজেট গরীব ও মধ্যবিত্তের সহায়ক বাজেট। শনিবার প্রদেশ বিজেপি-র নির্বাচনী কার্যালয়ে সাংবাদিক করে বলেন মুখপাত্র নব্যেন্দু ভট্টাচার্য। এই বাজেট সাধারণ মানুষের বাজেট বলেও জানান তিনি। স্বাধীনতার শতবর্ষকে সামনে রেখে তৈরি করা বাজেট। রাজ্যে বিরোধীদের কোন অস্তিত্ব নেই। সর্বত্র প্রার্থী দেওয়ার মত অবস্থায় নেই বিরোধীরা। তাই তাদের মধ্যে জোট হয়েছে। বিগত ৫ বছরে এই সরকার মানুষের স্বার্থে প্রচুর কাজ করেছে। সরকারের নিজস্ব প্রকল্প গুলি লিখিত আকারে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের বহু প্রকল্প বাম শাসনেও ছিল। কিন্তু সেই সময় তার সঠিক বাস্তবায়ন ঘটেনি। গৃহ নির্মাণ প্রকল্প বড় উদাহরণ। সিপিএম দলের মূল লক্ষ্য ছিল দলীয় কার্যালয় নির্মাণ।

সেই কার্যালয় নেশাকারবারীদের টাকায় হয়েছে। তাদের জনগনের জন্য কাজ করার মন ছিল না। বর্তমানে সেই কেন্দ্রীয় প্রকল্প গুলি সঠিক ভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে বলে জানান তিনি। শ্যাম হরি শর্মা উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে বিজেপি-র প্রথম শহীদ হন। কারা তাঁকে হত্যা করেছে এটা ওপেন সিক্রেট। কিন্তু দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার কারনে বহু প্রমান লোপাট হয়ে গেছে। যে সমস্ত অপশক্তি এই কাজ করেছে তারা যাতে আর মাথা চাড়া দিয়ে আর উঠতে না পারে সেই জন্য জনগণ এবং কার্যকরতা সক্রিয় রয়েছে বলে জানান মুখপাত্র নব্যেন্দু ভট্টাচার্য। যাদের কারনে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে এবং এই সমস্যার যারা কারন তাদের দুজনের মধ্যে জোট হয়েছে। তাদের গোপন সম্পর্কের জেরে ১০৩২৩ –র সৃষ্টি হয়েছে। সমস্যা সমাধানের সুযোগ ছিল। কিন্তু সেই পথে তারা যায়নি।  সন্ত্রাস কার আমলে হয়েছে এটা রাজ্যের মানুষ জানেন। যে সমস্ত সিপিএম নেতাকে সেদিন বটতলা দলীয় অফিসে আগুন দিয়ে পুরিয়ে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল তারা এখন নির্বাচনে নেই। তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার সেই দুই এখন জোট করেছে। যারা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ তুলেছিলেন তারা এখন নীরব। সিপিএম-র সন্ত্রাস গুনে শেষ করা যাবে না। হিংসার রাজনীতি যারা করেছে তারাই স্বচ্ছ প্রশাসনের বুলি আওড়াচ্ছে বলে কটাক্ষ করেন তিনি। ১৩ ফেব্রুয়ারী রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সহাসাই রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ্‌, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়গড়ি, স্বর্বানন্দ সোনোয়াল, অর্জুন মুন্ডা, স্মৃতি ইয়াণি, কিরন রিজেজু, মনিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং, অরুনাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমাখান্ডু, আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, সাংসদ হেমা মালিনী, বিজেপি নেতা মনোজ তেওয়ারী, সাংসদ নিশিথ প্রামানিক। এছাড়া রাষ্ট্রীয় সভাপতি ফের রাজ্যে আসবেন।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য

error: <b>Alert: </b>Content selection is disabled!!