স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৫ জানুয়ারি : গণতন্ত্রের দমবন্ধকর অবস্থা রাজ্যে! যারা সংবাদ মাধ্যমের দরদে দিনরাত ঘামেন তারাই স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা কায়েম করে গণতন্ত্রের ত্রুটি টিপে ধরে দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে বন্ধ করে রেখেছে রাজ্যের বহু সংবাদমাধ্যম চ্যানেল। নিজেদের ভুল ত্রুটি যাতে খবরে প্রকাশিত না হয় তার জন্য আতঙ্কে তাদের পা চাটা প্রকৌশলধারীদের কাজে লাগিয়ে সেসব সংবাদ মাধ্যমের চ্যানেল দাবিয়ে রেখেছে।
এবং সংবাদ মাধ্যমের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা নিজেদের বজায় রাখতে কোন ভাবেই সুযোগ হাতছাড়া করেন নি মুখোশধারী গণতন্ত্র প্রিয় দরদীরা। কিন্তু সংবাদ মাধ্যম যে শুধুমাত্র দায়বদ্ধ সমাজের কাছে সেটা এক প্রকার ভাবে ভুলে গেছেন তারা। গত পাঁচ বছরে তারা শুধুমাত্র ভালো দিকটাই সংবাদমাধ্যমে প্রচার করা গদি মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে নিজেদের জাহির করেছে। বুধবার সংবাদ মাধ্যমের একটি প্রতিনিধি দল পশ্চিম জেলা শাসক দেবপ্রিয় বর্ধনের দ্বারস্থ হন। দাবি জানান যে সমস্ত খবরের চ্যানেল টিভিতে বন্ধ রয়েছে সেগুলি যাতে অবিলম্বে খোলার ব্যবস্থা করা হয়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন স্যন্দন টিভির ডিরেক্টর অভিষেক দে সহ অন্যান্য খবরের চ্যানেলের সমীর ধর, রাজীব দত্ত সহ অন্যান্যরা। প্রতিনিধি দলে উপস্থিত সমীর ধর জানান, ২০১৮ সালে সরকার পরিবর্তনের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে একের পর এক ইলেকট্রনিক খবরে চ্যানেল ক্যাবলচ্যুত করে দেওয়া হয়। কিন্তু কি কারণে ক্যাবল দ্বারা টিভিতে সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে।
কিন্তু ক্ষমতায় যারা রয়েছে তাদের চাপে পড়ে সন্তুষ্ট কর্তৃপক্ষ লাইনচ্যুত করে রেখেছে বলে খবর রয়েছে। তাই জেলা শাসকের কাছে ডেপুটেশন প্রদান করে দাবি জানানো হয়েছে যাতে নির্বাচনের আগে এই খবরের চ্যানেলগুলি টিভিতে সম্প্রচার করার জন্য ব্যবস্থা করা হয়। আগেও বহুবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে খবরে চ্যানেলগুলি যাতে পুনরায় টিভিতে খবর সম্প্রসার করতে পারে তার ব্যবস্থা করে দিতে দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসনের কানে জল ঢোকেনি বলা চলে। তাই পুনঃরায় জেলা শাসকের দ্বারস্থ হয়ে দাবি জানানো হয়েছে। যদি জেলা শাসক অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে জানা যায় প্রতিনিধি দলের কাছ থেকে।