আগরতলা, ১৩ ডিসেম্বর (হি.স.) : মৎস্য দফতর প্রথমবারের মতো রাজ্যের জলাশয়গুলির জন্য লিজ পলিসি-২০২১ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ সোমবার সচিবালয়ের কনফারেন্স হল-এ সাংবাদিক সম্মেলনে মৎস্য দফতরের মন্ত্রী মেবারকুমার জমাতিয়া এই খবর জানান। তাঁর বক্তব্য, ত্রিপুরায় বর্তমানে ১,৫০২টি জলাশয় রয়েছে।
এই জলাশয়গুলি এতদিন মৎস্য দফতর সহ সংশ্লিষ্ট দফতকর যেমন পঞ্চায়েত, শিক্ষা, পুলিশ প্রভৃতি দফতরের নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল। বর্তমান রাজ্য সরকার এই জলাশয়গুলি সুষ্ঠুভাবে রক্ষণাবেক্ষণের উদ্দেশ্যে এই প্রথমবারের মতো ত্রিপুরা ওয়াটার বডিজ লিজ পলিসি-২০২১ গ্রহণ করেছে। সাথে তিনি যোগ করেন, এ বছর মৎস্য ক্ষেত্রে দেশের ১১টি পার্বত্য রাজ্যের মধ্যে ত্রিপুরা প্রথম স্থান অর্জন করেছে।
মৎস্যমন্ত্রী মেবারকুমার জমাতিয়া বলেন, এ বছর মৎস্য ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কাজের উৎকর্ষতা স্বরূপ দেশের ১১টি পার্বত্য রাজ্যের মধ্যে ত্রিপুরা প্রথম স্থান অর্জন করেছে। এক্ষেত্রে গত ২১ নভেম্বর বিশ্ব মৎস্য দিবসে ত্রিপুরাকে কেন্দ্রীয় মৎস্যমন্ত্রক থেকে ১০ লক্ষ টাকা সম্মানস্বরূপ পুরস্কার প্রদান করা হয়। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠার পর বন দফতরের জাইকা প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চেক ড্যাম তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বন ও মৎস্য দফতরের সমন্বয়ে এই চেক ড্যামগুলিতে মৎস্য চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, জানিয়েছেন মেবারকুমার।
তিনি আরও জানান, রাজ্যে বছরে মাছের চাহিদা জনপ্রতি ২৫ কেজি। এক্ষেত্রে ত্রিপুরা দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। প্রথম স্থানে রয়েছে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। মন্ত্রী জানান, রাজ্যে মাছের চাহিদা অনুযায়ী প্রায় ২৩ শতাংশ মাছ বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়। এই ঘাটতি মেটানোর জন্য মৎস্য দফতর ক্যাজ কালচার, বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ, মাছের রেণু উৎপাদনের মতো বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। আগামী দু-তিন বছরের মধ্যে রাজ্য মৎস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে বলে মৎস্যমন্ত্রী আশা ব্যক্ত করেন।
এদিন মৎস্য দফতরের সচিব দীপা ডি নায়ার বিভিন্ন উন্নয়নমূক পরিকল্পনা সম্পর্কে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সারা ত্রিপুরায় ৫৮৯ জন মৎস্যমিত্র নিয়োগ করা হবে। কোভিড অতিমারি পরিস্থিতিতে রাজ্যের বাজারগুলিতে মাছের চাহিদা নিয়ন্ত্রণে ছিল।