স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৭ জানুয়ারি : রাজ্য সরকারের আর্থিক বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও এম ডি সন্তোষ দাসের কারণে মহার্ঘ ভাতা বঞ্চনা শিকার জুট মিল কর্মচারীরা। এমনটাই অভিযোগ তুলে ভোটের মুখে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন ঘোষণা করল জুট মিলের কর্মচারীরা। তাদের অভিযোগ বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তিন শতাংশ মহার্ঘ ভাতা যথারীতি মিললেও ইদানিং পাঁচ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা হওয়ার পরেও এম ডি সন্তোষ দাস বঞ্চিত করে চলেছেন জুট মিলের কর্মীদের। এ বিষয়ে এমডি’র সাথে কথা বললে তিনি জানান, বেতন ভাতার উৎস হলো উৎপাদন।
রাজ্য সরকার নাকি বলেছেন যেহেতু জুট মিলের উৎপাদন বন্ধ হয়ে আছে তাই কোন মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হবে না। এমডি’র এই ধরনের কথা সম্পূর্ণভাবে ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেন তারা। তাদের দাবি রাজ্য সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী পুরোপুরি মহার্ঘ ভাতা তাদের মিটিয়ে দিতে হবে। কারণ চক্রান্ত করে মিথ্যা তথ্য হিসেবে রাজ্য সরকারের কাছে তুলে ধরেছেন বেতন ভাতার উৎস হলো উৎপাদন। এমডি মিথ্যা কথার উপর ভিত্তি করে রাজ্য সরকার এখন মহার্ঘ ভাতা থেকে বঞ্চনা করছে তাদের। তাই এমডি’র কাছে যাবি সরকারের কাছে যাবে সঠিক তথ্য দিয়ে বেতন বঞ্চনা দূর করা হয়। কর্মচারীদের আরো বক্তব্য, তারা অবসরে গেলে অভাব অনটনের শিকার হয়ে ভুগতে হয়।
তাদের আরো অভিযোগ কর্মরত ১৭০০ কর্মীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় ভুগছে। তাদের আরো অভিযোগ ২০১৮ সালে তারা প্রাক্তন মুখিয়া বিপ্লব কুমার দেবের নেতৃত্বে চলো পাল্টাই স্লোগানে সরকার পরিবর্তন করেছিল। কথা মতো বিএমএস করেছে। এখন যদি বঞ্চনার শিকার হতে হয় তাহলে তারা মেনে নেবে না বলে বলে দীর্ঘক্ষণ জুট মিলের মূল ফটকের সামনে আন্দোলন করে কর্মীরা।