Tuesday, January 14, 2025
বাড়িরাজ্যকংগ্রেস ও সিপিআইএম জোট হলে কিছু হবে না, ভারতীয় জনতা পার্টির অভিভাবক...

কংগ্রেস ও সিপিআইএম জোট হলে কিছু হবে না, ভারতীয় জনতা পার্টির অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী : মুখ্যমন্ত্রী

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১০ জানুয়ারি :  আগরতলায় ডেন্টাল কলেজ স্থাপনের জন্য উদ্যোগ নেওয়া পর প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে চিঠি পাঠিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে। বর্তমান সরকারের আমলে এ ধরনের যে কোন উন্নয়নমূলক কাজ যখনই হয়েছে, তখনই বিরোধীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়তে দেখা গেছে। আসলে পিতা পুত্র যে সুরে কথা বলেন, আর একই সুরে কথা বলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। রাজ্যবাসী এই পিতা পুত্রের রাজনীতি দেখেছে। উশৃঙ্খল কংগ্রেস দলের রাজনীতিতেই রয়েছে এ ধরনের অভিনয়। তারা বোম্বেতে গেলে এতদিনে হিরো বা হিরোইন হয়ে যেতেন।

মঙ্গলবার বেহালা বাড়িতে আয়োজিত জনবিশ্বাস রথযাত্রার সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সমীর রঞ্জন বর্মন, বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন এবং বিরোধী দলনেতা মানিক সরকারকে একই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। তিনি বলেন, মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টি এত এত মানুষকে খুন করেছে, নারীদের ইজ্জত লুণ্ঠন করেছে। এখন তাদের সাথেই এবং কংগ্রেস মিতালী হতে চাইছে, তারা মানুষকে কি জবাব দেবে বলে প্রশ্ন তুলেন মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, যেভাবে ১৯৭৭ এবং ১৯৯৩ সালে তারা রাজ্যবাসীকে আবেগ দেখিয়ে সরকার গঠন করেছিল সেভাবেই চাইছে ত্রিপুরায় সরকার গঠন করতে। তাদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন ত্রিপুরায় ভারতীয় জনতা পার্টির সরকারের অভিভাবক হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, ভারতীয় জনতা পার্টির রাষ্ট্রীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। তাই এত সহজে কিছু হবে না। কারণ হলো ভারতীয় জনতা পার্টি অত্যন্ত শক্তিশালী দল। তাই বিরোধীদের উদ্দেশ্যে বলা হচ্ছে এই বৃথা চেষ্টা না করার জন্য এবং স্বপ্ন দেখা বন্ধ করে দেন। জাতি জনজাতিদের মধ্যে ঐক্যতা নষ্ট করে জল ঘোলা করার চেষ্টা না করার জন্য। বর্তমান প্রধান আঞ্চলিক দল সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলকে এভাবেই হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী। ত্রিপুরার মহারাজা বীর বিক্রম যে বিমানবন্দরটি রয়েছে এটা ছিল সিঙ্গার বিল বিমানবন্দর। কিন্তু যেহেতু এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মহারাজা বীর বিক্রম, তাই এর নামাকরণ মহারাজার প্রতি সম্মান জানিয়ে উনার নামে করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরার বর্তমান উন্নয়নমূলক কাজের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, বর্তমান সরকার অনিয়মিত কর্মচারীদের দ্বিগুণ বেতন বৃদ্ধি করা করেছে, চিকিৎসকদের দীর্ঘ ২২ বছর পর পদোন্নতি দিয়েছে, সার্ভিস রোল পরিবর্তন করে সুপার স্পেশালিটির ব্যবস্থা করেছে, এডিসি এলাকায় একটি হাসপাতাল স্থাপন করার জন্য জায়গা নির্ধারিত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি দেশের মধ্যে তৃতীয় শক্তিশালী ইন্টারনেট পরিষেবা ত্রিপুরা রাজ্যে করে দেখিয়েছে। উন্নয়নের প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আরো দাবি করেন রেল আজ সাব্রুম পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বর্তমানে বহু এক্সপ্রেস ট্রেন আগরতলা থেকে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে চলাচল করছে। এক দিশারী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলছেন যদি উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নত না হয় তাহলে দেশ এগিয়ে যাবে না বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। সভার পর একটি যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় তিপ্রা মথা ও আইপিএফটি থেকে তিন শতাধিক জনজাতি ভোটার বিজেপিতে যোগদান করেন। তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে স্বাগত জানান মুখ্যমন্ত্রী। সভায় এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জন বিশ্বাস রথযাত্রার দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতৃত্ব অমিত রক্ষিত সহ অন্যান্যরা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য