স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৯ জানুয়ারি : নির্বাচন ঘোষণের বাকি। তারপর ঘোষিত হবে প্রার্থী তালিকা। এর আগেই ময়দানে নেমে পড়েছেন শাসক দল বিজেপি ও কংগ্রেসের। ৫ জানুয়ারি রাজ্য সফরে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনসভা থেকে এক প্রকার ভাবে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার নেতৃত্বে আগামী পাঁচ বছরে ত্রিপুরা দেশের মধ্যে সমৃদ্ধ হবে। আর সেই আশাবানী পেয়ে উৎসাহিত মুখ্যমন্ত্রী এবার ঘরে ঘরে প্রচারে যাচ্ছেন। পাচ্ছেন মানুষের ব্যাপক সাড়া।
সোমবার ৮ নং টাউন বড়দোয়ালি বিধানসভা কেন্দ্রে বাড়ি বাড়ি প্রচার শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। এদিন ২২ এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়ি বাড়ি যান মুখ্যমন্ত্রী। এদিন দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচার সারেন তিনি। বাড়ি বাড়ি প্রচারে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন হাতের সময় কম। এখন থেকে কর্মসূচি শুরু না করলে পরবর্তী সময় সময় মিলবে না। সারা রাজ্য ঘুরতে হচ্ছে। তাই সেই সময় থেকে বের করে নির্বাচনী প্রচার সারেন তিনি। সমস্ত মানুষের মঙ্গল কামনা করে আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন তিনি। বিজেপির জনবিশ্বাস রথযাত্রা শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে মানুষের বিশ্বাস আরো বেশি করে চান তিনি। বিগত উপনির্বাচনে বিধানসভার বেশ কিছু ওয়ার্ডে সময় দেওয়া সম্ভব হয়নি। যে সমস্ত এলাকা বাদ পড়ে গিয়েছিল সেই জায়গা থেকেই এ প্রচার শুরু করেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। উন্নয়ন সামনে রেখেই বিজেপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
এদিন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মেলার মাঠ এলাকায় বাড়ি বাড়ি প্রচারে যায় কর্মীরা। কংগ্রেস কর্মীদের বক্তব্য বিগত উপ নির্বাচনে ভোটদানে বাধা দিয়েছে বিজেপি দুর্বৃত্তরা। কারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়ে আছে। কর্মসংস্থানের অভাব এবং নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীমূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর পাশাপাশি বিজেপি সরকারের আমলে গণতন্ত্র নেই।
৮ নং টাউন বড়দোয়ালি বিধানসভা কেন্দ্রে আসনে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস এবং শাসক দল বিজেপি থেকে কে প্রার্থী হবে সেটা নিয়ে এখনো দ্বন্দ্বে রয়েছে জনগণ। কিন্তু তারই মধ্যে প্রার্থী বিহীন প্রচারে নেমে পড়েছে বিজেপি ও কংগ্রেস উভয় রাজনৈতিক দল। তবে রাজ্যের অন্যান্য বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে এই কেন্দ্রটি একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। কারণ বিগত দিন থেকে এই কেন্দ্রে অবাম ভোটার দ্বারা বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রার্থী জয়ী হচ্ছে। কারণ এলাকার শান্তিপূর্ণ মানুষ চায় গণতন্ত্র। গণতন্ত্র যেন সঠিকভাবে পরিচালিত হয় তার নিরিখে মানুষ ভোট দেয়।