Sunday, June 1, 2025
বাড়িরাজ্যশিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির সামনে জমায়েত এস টি জি টি -র প্রার্থীদের

শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির সামনে জমায়েত এস টি জি টি -র প্রার্থীদের

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১ জানুয়ারি : নববর্ষের সকালে শিক্ষামন্ত্রীর ঘুম ভাঙলো বেকারদের জমায়েতে। দীর্ঘ আড়াই থেকে তিন মাস যাবত এস টি জি টি চাকুরি প্রার্থীরা শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ি, আবার কখনো উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি, আবার কখনো মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে জমায়েত হয়। দাবি তাদের সকলকে একসাথে নিয়োগ করার জন্য।

শেষ পর্যন্ত শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও করে ডেপুটেশন প্রদান করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছিলেন এই বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রীদের সাথে কথা বলবেন। কিন্তু তারপরও রাতে ঘুম নেই এস টি জি টি চাকুরি প্রার্থীদের। রবিবার সকালে পুনরায় তারা শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির সামনে গিয়ে জমায়েত হয়। তারপর শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ তাদের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে কথা বলেন। পরবর্তী সময়ে তারা শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ি থেকে বের হয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখোমুখি হয়ে জানান, শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে ১০৮১ জন নিয়োগের জন্য একটি ফাইল পাঠানো হয়েছিল অর্থমন্ত্রীর কাছে। আরো ১০০০ জনের অনুমোদন চাইতে একটি ফাইল অর্থমন্ত্রীর কাছে পাঠানোর জন্য দপ্তরকে বলেছেন মন্ত্রী।

 অর্থমন্ত্রী তথা উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা যদি ফাইল গুলিতে অনুমোদন দিয়ে দেয় তাহলে যারা চাকুরীর জন্য মন্ত্রীর বাড়ির সামনে জমায়েত হচ্ছে তাদের সকলের নাম মেরিট লিস্টে আসবে বলে অভিমত। চাকুরির দাবিদার যুবক যুবতীরা জানায়, এখনো তাদের ফলাফল প্রকাশ হয়নি। তাই পাশ ফেল নিয়ে তারা নিশ্চিত নয়। টি আর বি টি -র সাথে যোগাযোগ করে ফলাফল ঘোষণা করার জন্য দাবি জানানো হবে। যাতে নির্বাচনে আগে নিশ্চিত হতে পারে কতজন চাকরি জন্য মেরিট লিস্টে রয়েছে। তাই প্রশ্ন হল কতজন পাশ ফেল রয়েছে তা না জেনে কিভাবে একসাথে ২,০৮১ জনকে নিয়োগের জন্য তারা দাবি করছেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো ফলাফল ঘোষণা হলে কতজন কাট অফ মার্ক পাবে সে তো বড় প্রশ্ন। তারপর প্রকাশিত হবে মেরিট লিস্ট। কারণ যোগ্যতা বিচার করে নির্ভর করবে চাকরি। সুতরাং ফলাফল না ঘোষণা হতেই বহু সংখ্যক যুবক-যুবতীকে নিয়োগের জন্য ফাইল পাঠিয়ে অনুমোদন চাওয়া ভোটের আগে ললিপপ হতে পারে বলে মনে করছে অনেকে। এদিকে শিক্ষামন্ত্রী প্রতিদিন বেকার যুবক যুবতীদের আন্দোলন দেখে চিন্তিত। বেকার যুবক যুবতীরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে মন্ত্রী বাড়ি প্রতিনিয়ত ঘেরাও করছে। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং নজরদারি চালিয়েও বেকারের চোখে আর ধুলো দিতে পারছে না সরকার। কারণ নির্বাচন আর মাত্র কয়েকদিন এর মধ্যেই ঘোষণা হবে। দিশেহারা বেকার সমাজ হিসাব চাইতে শুরু করেছেন মন্ত্রীদের কাছে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য

error: <b>Alert: </b>Content selection is disabled!!