Saturday, July 27, 2024
বাড়িরাজ্যসরকারে পাঁচ বছরের চাকরি তথ্য ভুল, দাবি ডি ওয়াই এফ আই -র

সরকারে পাঁচ বছরের চাকরি তথ্য ভুল, দাবি ডি ওয়াই এফ আই -র

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩১ ডিসেম্বর :  দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্যরা রাজ্যের যুবক যুবতীদের সাথে প্রতারণা করে চলেছে। গত ২৯ ডিসেম্বর তথ্যমন্ত্রী মহাকরণে বসে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান গত পাঁচ বছরে রাজ্যের অর্থ দপ্তর অনুমোদন দিয়েছে ৪১ হাজার ৯৪৯ টি শূন্যপদ। কিন্তু মন্ত্রী যে তথ্য তুলে ধরেছেন তা সম্পূর্ণ ভুল। মন্ত্রী বলেছেন ৪১,৯৪৯ পদের মধ্যে নিয়মিত ১৭ হাজার ৬৮৭ জন, ডাই হারনেস ১৩২৯ জন, কন্টাকচুয়াল ৮০১৩ জন , আউট সোর্সিং ৫৮৭৯ জনের। এর যোগফল মোট ৩২ হাজার ৯০৮ জন। সুতরাং ৪১ হাজার ৯৪৯ জনের শূন্য পদ পূরণের অনুমোদন নিয়ে মিথ্যা কথা বলছেন তিনি। তিনি আরো প্রতারণা করে বলেছেন রাজ্যে মোট ২৪ হাজার ৩৩ জন চাকরি হয়েছে।

কিন্তু এর মধ্যে দেখা গেছে আই সি এ অধীনে চাকরি হয়েছে এক বছরে জন্য, স্বাস্থ্য দপ্তরের ১১ মাসের জন্য কন্টাকচোয়াল নিয়োগ হয়েছে, একইভাবে বিদ্যুৎ নিগমের ক্ষেত্রেও ঠিকাদারের মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়েছে। সুতরাং ঠিকাদারদের মাধ্যমে নিয়োগ হওয়া কর্মীদের এবং নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে নিয়োগ হওয়া কর্মীদের পর্যন্ত হিসেবে ধরে ২৪ হাজার ৩৩ জনের নিয়োগ হয়েছে বলে সরকার ঢাক ঢোল পেটাচ্ছে। শনিবার ছাত্র যুব ভবনের সাংবাদিক সম্মেলন করে এই পরিসংখ্যান তুলে ধরে সরকারকে প্রতারক হিসেবে আখ্যায়িত করেন ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক নবারুণ দেব। তিনি বলেন এই পরিসংখ্যানে স্পষ্ট হয়ে গেছে রাজ্য সরকার নিয়োগ নীতি নিয়ে যুবক যুবতীদের সাথে প্রতারণা করছে। তাই ডিওয়াইএফআই এবং টি ওয়াই এফ চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারে এই ২৪ হাজার ৩৩ জনের মধ্যে ১২ হাজারের কম রয়েছে সরকারি চাকরি। বাকি সব ঠিকাদারের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিয়োগ করা হয়েছে। নবারুণ দেব আরো বলেন, যারা ঠিকাদারের অধীনে নিয়োগ হচ্ছে তারাও সঠিকভাবে বেতন পাচ্ছে না।

 দু তিন মাস পর গিয়ে ঠিকাদারের বাড়িতে ধর্না দিতে হচ্ছে বলে সমালোচনা করেন তিনি। তথ্যমন্ত্রী আরও সমালোচনা করে ডি ওয়াই এফ আই রাজ্য সম্পাদক বলেন এই সুশান্ত চৌধুরী দেড় বছর আগে বলেছিলেন কোথায় চাকরি ? তার বিধানসভা কেন্দ্রে একটি চাকরিও হয়নি। এ সরকারে মন্ত্রিসভার সদস্যরা মিথ্যে কথা বলার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। পাশাপাশি তিনি সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ব্যাপক সংখ্যক শূন্যপদ থাকার পরেও সরকার পূরণ করার উদ্যোগ নিচ্ছে না।

রাস্তায় নামছে বেকার যুবক যুবতীরা। এছাড়াও বছরে পঞ্চাশ হাজার চাকুরীর কি হয়েছে তা নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন তুলে ডিওয়াইএফআই এবং টি ওয়াই এফ। ডি ওয়াই এফ আই রাজ্য সভাপতি পলাশ ভৌমিক বলেন দেশে বেকারত্বের দিকে প্রথম পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে রয়েছে ত্রিপুরা। জাতীয় স্তরে বেকারত্বের হার রয়েছে ৮.৭ শতাংশ, আর ত্রিপুরায় বেকারত্বের হার ১৪.৫ শতাংশ। বেকারত্বের দিকে ত্রিপুরা মডেল তৈরি হয়েছে গোটা দেশে বলে জানান তিনি।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য