Friday, October 18, 2024
বাড়িরাজ্যসাত দফা দাবিতে ডেপুটেশন সারা ভারত কৃষক সভার

সাত দফা দাবিতে ডেপুটেশন সারা ভারত কৃষক সভার

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৮ ডিসেম্বর : সম্প্রতি অকাল বর্ষণে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষকরা। তাই বুধবার সারা ভারত কৃষক সভার পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল কৃষি ভবনে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তার কাছে ডেপুটেশন প্রদান করে ৭ দফা দাবি তুলে ধরেন। ডেপুটেশনের পর সারা ভারত কৃষক সভা রাজ্য কমিটি সম্পাদক পবিত্র কর জানান সম্প্রতি যে অকাল বর্ষণ হয়েছে তা গত ১৫-১৬ বছরের ইতিহাসে রেকর্ড। অগ্রায়ণ মাসে এত বৃষ্টি আগে কখনো দেখা যায়নি বলে চলে। প্রবল বর্ষণে ধান, শীতকালীন সবজি এবং ফল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষি ফসল সম্পূর্ণভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

 সরকার যাতে সমস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দিতে ভূমিকা গ্রহণ করে তার জন্য দাবি জানানো হয়েছে। কারণ শান্তির বাজার, সোনামুড়া, তেলিয়ামুড়া, ধর্মনগর, অমরপুর, বিলোনিয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষকরা। এ মহকুমাগুলিতে সবচেয়ে বেশি কৃষি ফসল উৎপাদন হয়। ক্ষতির যেহেতু কোনো সীমা নেই তাই কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন বিমাতে কৃষকদের তেমন কোনো লাভ হয় না। ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ফান্ড থেকে কৃষকদের সাহায্য করার জন্য দাবি জানানো হচ্ছে। এবং বলা হয়েছে বিগত দুবছর আগে বৃষ্টিতে কৃষি ফসল নষ্ট হওয়ার পর দপ্তরে সহযোগিতা নিয়ে বৈষম্য প্রকাশ্যে এসেছিল। কিন্তু এখন যাতে বৈষম্য সৃষ্টি না করা হয় তার জন্য দাবী জানান তিনি। কারণ চাষীদের কোন রাজনীতিক রং হয় না। এবং চাষের জমির কোনদিন রাজনৈতিকভাবে বিচার করে ভাগ করা যায় না। তাই ক্ষতিগ্রস্ত সমস্ত কৃষকরা যাতে সহযোগিতা পায় তার জন্য দাবি জানানো হয়েছে। এবং বলা হয়েছে যেসব কৃষকদের মাইক্রো ফাইন্যান্স ঋণ রয়েছে তারা আগামী ফসল না তোলা পর্যন্ত মাইক্রোফাইন্যান্স ঋণ স্থগিত রাখার দাবি জানানো হয়েছে। তবে দপ্তরে পক্ষ থেকে শিকার করা হয়েছে তাদের কর্মীর অভাব রয়েছে।

 স্পেশাল প্যাকেজের মাধ্যমে রেগা কাজ যাতে আরো বেশি মাত্রায় করানো হয়। তাহলে কৃষকরা কিছুটা হলেও উপকৃত হবে। আরো বলা হয়েছে যারা রাজ্যে রাবার চাষি রয়েছে তাদের জন্য সরকার যাতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। কারণ রাজ্যে রাবার চাষিরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। কারণ রাবারের লেটেক্স সরকার না কেনার ফলে রাবার সিটের মূল্য কমে গেছে। এ বিষয়টি নিয়ে রাবার বোর্ডকেও অবগত করা হবে। রাজ্যে এক লক্ষের বেশি রাবার চাষি রয়েছে। পাশাপাশি আরও বলা হয়েছে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে বহু ফসল কৃষকদের নষ্ট হচ্ছে। বিএসএফ জওয়ানরা কৃষকদের ফসল আনতে দিচ্ছে না। পুলিশ প্রশাসন এবং মহকুমা শাসকদের যাতে অবগত করা হয়, এবং কৃষকদের ওপার থেকে ফসল তুলে আনতে ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি। এদিন প্রতিনিধিদলে এছাড়া উপস্থিত ছিলেন রতন দাস সহ সারা ভারত কৃষক সভার রাজ্য কমিটির নেতৃত্ব।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য