Thursday, January 23, 2025
বাড়িরাজ্যআগের সরকার বিভাজন ও শাসনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিল : মুখ্যমন্ত্রী

আগের সরকার বিভাজন ও শাসনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিল : মুখ্যমন্ত্রী

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৭ ডিসেম্বর : মঙ্গলবার কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের উদ্যোগে জিরানীয়া এগ্রি সাবডিভিশনের অধীনে থাকা খুমলুংয়ের বেলবাড়ি ব্লকের  অন্তর্গত খুমতিয়া বাজার এলাকায় নবনির্মিত প্রাথমিক গ্রামীণ বাজারের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। এদিন দুর্যোগ পূর্ণ আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে বহু মানুষের সমাগম ঘটে এই অনুষ্ঠানে। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী প্রনজিত সিংহ রায়, জেলা সভাধিপতি অন্তরা সরকার দেব, দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায়, অধিকর্তা শরদেন্দু দাস সহ অন্যান্যরা।

  উদ্বোধনের পর কৃষকদের মধ্যে কৃষি সামগ্রী প্রদান করেন মুখ্যমন্ত্রী। নব নির্মিত মার্কেটটি ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিরা। কৃষিক্ষেত্রের কল্যাণে বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা সর্বস্তরে পৌঁছে দিতে দায়বদ্ধ বর্তমান রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী আরো জানান এই দিনটি খুশীর দিন । এদিন সরকারী কর্মচারীদের জন্য  ডি এ এবং ডি আর –র ঘোষণা করেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী জাতি জনজাতির ঐক্যের কথা বলেন। সেই দিশাতে দিন রাত কাজ করে চলেছে সরকার। রাজ্যের সার্বিক উন্নয়ন ঘটাচ্ছে সরকার। জন জাতিদের স্বার্থে যে কাজ সরকার করেছে তার মুল্যায়ন করে জনজাতি অংশের মানুষ। একাধিক কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী।  জনজাতিদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে বর্তমান সরকার। আত্ম নির্ভর ত্রিপুরা এবং মহিলাদের উন্নয়নে সরকার কাজ করছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। শান্তি সম্প্রীতির মাধ্যমে উন্নয়ন ঘটাতে বদ্ধ পরিকর সরকার। আগের সরকার বিভাজন এবং শাসনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিল। তারা এখন অপর দলের সঙ্গে মিলে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে আবার যৌথ বিবৃতি দিচ্ছে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে টাকারজলায় এক হাজার মেট্রিক টন ধানের গোডাউন ও কৃষক জ্ঞানার্জন কেন্দ্রের উদ্বোধন হয় মঙ্গলবার । উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী প্রানজিৎ সিংহ রায়, বিধায়ক বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা, সিপাহীজলা জেলা এগ্রিকালচার স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি বিশ্বজিৎ সাহা,  সিপাহী জেলা জেলা সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত, সহ জেলা এগ্রিকালচার দপ্তরের আধিকারিকরা।  মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন শেষে জানান এলাকার জনজাতিরা দীর্ঘদিন যাবত তাদের উৎপাদিত ধান বিক্রির জন্য   বিভিন্ন স্থানে ছোটাছুটি করতে হতো।  কোথাও সঠিক ন্যায্যমূল্য পেত না। বর্তমান রাজ্য সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ফলে  এর নিরসন ঘটিয়েছে।  টাকারজলায় ১০০০ মেট্রিক টন ধানের গোডাউন ও জ্ঞানার্জন কেন্দ্রটি উদ্বোধনের ফলে উপকৃত হবেন  এলাকার জনজাতি পরিবার গুলি । কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার মিলিতভাবে জনজাতিদের উন্নয়ন ঘটাচ্ছে। মানুষের মৌলিক সমস্যা দূর করতে চায় সরকার। সমগ্র দেশের সাথে সাথে রাজ্যেও কৃষকদের উন্নয়নে কাজ চলছে। আগামি দিনে তা কৃষকদের সহায়ক হবে বলে জানান তিনি। একই সঙ্গে টাকারজলায় প্রথম বারের মত কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় পক্রিয়ার সূচনা হয়।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য