স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৬ ডিসেম্বর : গণতন্ত্রে মানুষ খুন করে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা যাদের নিত্যদিনের কাজ ছিলো ত্রিপুরার মাটিতে সেই বর্বরদের কোন ঠাঁই নেই। বিজেপি ৪৪ রাইমাভ্যালী মন্ডলের উদ্যোগে সোমবার শহীদ চাঁন মোহন ত্রিপুরার ষষ্ঠ শহীদান দিবস উদযাপন ও শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। এইদিন গন্ডাছড়ার ৩৩ কে.ভি আই.এস অফিস ময়দানে শহীদ চাঁন মোহন ত্রিপুরার ষষ্ঠ শহীদান দিবস উদযাপন করা হয়।
অন্যান্যরা শহীদ চান মোহন ত্রিপুরার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা বক্তব্য রাখতে গিয়ে আরো বলেন, কমিউনিস্টরা যখন ত্রিপুরা রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল, তখন অনেক কংগ্রেস কর্মী সমর্থক খুন হয়েছে। কিন্তু তখন কংগ্রেস সেই ভাবে প্রতিবাদ করে নি। কারন কমিউনিস্ট ও কংগ্রেসের মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল। ত্রিপুরাতে তাদের কুস্তি ছিল আর দিল্লিতে তাদের বন্ধুত্ব ছিল। চান মোহন ত্রিপুরাকে খুনের পর কমিউনিস্টরা ভেবে ছিল বিজেপি চুপ করে থাকবে। কিন্তু চান মোহন ত্রিপুরার হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমগ্র রাজ্যের মানুষ গর্জে উঠেছিল। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর চান মোহন ত্রিপুরাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নিশংস ভাবে হত্যা করা হয়। তারপর এই ঘটনাকে ধামা চাপা দেওয়ার জন্য গণ্ডাছড়ার তৎকালীন সি পি আই এম পার্টি অফিস থেকে তাদের সম্পাদক একটা গল্প বানিয়েছিল। সেই বিষয়ে সকলের জানা রয়েছে। সিপিআইএম-এর অনেক গল্প ধরাই যায় না। কমিউনিস্টরা খুন সন্ত্রাসে বিশ্বাসী।
৩৫ বছর রাজত্বকালে তারা ত্রিপুরাকে কোন অবস্থায় নিয়ে গেছে, তা রাজ্যের মানুষ দেখেছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী এইদিন আরও বলেন রাজ্য জুড়ে যখন উন্নয়ন মূলক কাজ চলছে তখন কমিউনিস্টরা লাল ঝাণ্ডা হাতে নিয়ে ময়দানে নেমে ১৯৯৩-র কায়দায় ক্ষমতা দখল করতে চাইছে। রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা নেই বলে প্রচার করছে। কিন্তু তথ্য বলছে ত্রিপুরা রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ভালো রয়েছে। কমিউনিস্টরা রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে চাইছে। বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠার পর একটিও রাজনৈতিক খুন হয়নি বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। মুখ্যমন্ত্রী এইদিন কংগ্রেস ও তৃনমূল কংগ্রেসেরও তীব্র সমালোচনা করেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি ধলাই জেলা কমিটির সভাপতি তথা বিধায়ক পরিমল দেববর্মা, জেলা কমিটির সহ-সভাপতি তথা ডুম্বুরনগর ব্লকের ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ চাকমা, এম ডি সি ভূমিকানন্দ রিয়াং, রাইমাভ্যালী মন্ডলের সভাপতি সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।