স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৬ ডিসেম্বর : স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের পর নির্যাতনের শিকার হয়ে বলি হতে হলো আরো এক গৃহবধূকে। আগরতলার শহরতলী উষা বাজার ছিনাইহানি ঘোষপাড়া এলাকায় সোমবার গৃহবধূর মৃতদেহ নিজ ঘর থেকে উদ্ধারের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠে এলাকা। পুলিশ থানায় নিয়ে যায় অভিযুক্ত স্বামী ও শাশুড়িকে। ঘটনার বিবরণের জানা যায়, সোমবার সকালে ঘরের মধ্যে গৃহবধূ পিংকি দাসের মৃতদেহ দেখতে পায় তার কন্যা।
শিশুকন্যার চিৎকারে ছুটে আসে আশপাশে এলাকার মানুষজন। এলাকাবাসী এয়ারপোর্ট থানার পুলিশকে খবর দিলে, পুলিশ এসে এলাকাবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়ে। এলাকাবাসী অভিযোগ গৃহবধূ পিংকি দাসকে প্রতিনিয়ত মারধর করতো তার স্বামী প্রশান্ত ঘোষ। শাশুড়ি আশু ঘোষও মানসিক অশান্তির কারণে পিংকি বিয়ের পর থেকে অশান্তিতে জীবন যাপন করত। গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজনদের অভিযোগ সামাজিকভাবে পিংকি দাস এবং প্রশান্ত ঘোষের বিয়ে হলেও বিয়েতে মতামত ছিল না শ্বশুর বাড়ির লোকজনদের। যার জন্য গৃহবধূর পিংকিকে বিয়ের পর থেকে শাশুড়ির কারণে অশান্তি ভোগ করতে হতো। শাশুড়ির সাথে তাল মিলিয়ে গত ছয়-সাত বছর ধরে স্বামী প্রশান্ত ঘোষ মারধোর করতো পিংকিকে। গত দুদিন আগেও পিংকিকে মারধর করার সময় এলাকাবাসী এসে অভিযুক্ত স্বামী প্রশান্ত কাছ থেকে মুক্ত করে। তাই এলাকাবাসী এবং গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজনদের অভিযোগ পিংকিকে খুন করেছে স্বামী এবং শাশুড়ি। তাই এলাকাবাসী বিক্ষোভ দেখায় প্রশান্ত দাসের বাড়িতে। পুলিশ ও ফরেন্সিক টিম মৃতদেহ পরীক্ষা-নিক্ষার পর জিবি হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পুলিশ জানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা হাতে নিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলে খুন কিনা স্পষ্ট হবে। পুলিশ এলাকাবাসীর ক্ষোভের মুখ থেকে অভিযুক্ত গৃহবধূর শাশুড়ি আশুবালা ঘোষ এবং স্বামী প্রশান্ত ঘোষকে রক্ষা করতে থানায় নিয়ে আসে। এলাকাবাসীর দাবি অভিযুক্ত শাশুড়ি, ননদ এবং স্বামীর যাতে কঠোর শাস্তি হয়।