স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৬ ডিসেম্বর : ভেস্তে গেল প্রশাসনের সর্বদলীর বৈঠক। বিফলে গেল পুলিশের নিরাপত্তা প্রদানের আশ্বাসের বাণীও। ফের স্বমহিমায় সক্রিয় হলো বিজেপির দুর্বৃত্তরা। নিশি রাতে নষ্ট করল কংগ্রেস, সিপিএমের প্রচারসজ্জা। উপড়ে ফেলে দিল বিরোধী দলগুলোর সাজানো ফ্ল্যাগ। বাঁশের ডগা কেটে ছিড়ে ফেলা হয়েছে ফ্ল্যাগের অর্ধেকাংশ।
ঘটনা রবিবার রাতে বাইপাস রোডস্থিত লক ডাউন বাজার এবং রাউতখলা এলাকায়। সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিজেপি দলের পতাকা আগেই লাগানো ছিল। রবিবার সকালে বাইপাস এলাকার বিভিন্ন জায়গায় পালা করে দলীয় পতাকা লাগায় কংগ্রেস এবং সিপিএমের কর্মীরা। রাতেই সেগুলো তুলে ছিড়ে ফেলে দেয় বলে কংগ্রেসের অভিযোগ। জানা যায়, গত শনিবার বাইপাস সড়ক সংলগ্ন লকডাউন বাজার এলাকায় বিজেপির একটি দলীয় সভা ছিল। সভায় প্রধান বক্তা তথ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেছিলেন রাজ্যে বিরোধী দলগুলোকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কোনো অস্তিত্বই নেই তাদের। দেখা যায় না কোনো ফ্ল্যাগ ফেস্টুনও।
পরদিন সকালে বাইপাস সহ গোটা বিশালগড় বাজার এলাকায় দলীয় পতাকা লাগায় সিপিএম কর্মী সমর্থক। এদিকে আগে থেকে কংগ্রেসের কিছু ফ্ল্যাগ লাগানো ছিল। মন্ত্রী কাছ থেকে অক্সিজেন পেয়ে রবিবার রাতে কংগ্রেস সিপিএমের রাস্তার ধারে লাগানো পতাকাগুলো তুলে, ছিড়ে ফেলে দেয় বিজেপি দুর্বৃত্তরা বলে অভিযোগ। কিছু পতাকা ফেলা হয় জলাশয়েও। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে সোমবার সকালে। পরে কংগ্রেস কর্মীরা কিছু ফ্ল্যাগ তুলে পুনরায় লাগিয়ে দেয় সড়কের ধারে। তবে ফ্ল্যাগ উদ্ধার করতে দেখা যায়নি সিপিএমের কোনো কর্মীকে। কংগ্রেস কর্মীদের অভিযোগ রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। দাবিয়ে রাখা হয়েছে বিরোধী দলের কর্মীদের। কোনো কর্মসূচি করতে দেওয়া হয় না তাদের। দায় এড়াতে পারবে না পুলিশও। বিজেপির সঙ্গ দিচ্ছে তারা। মেনে নিতে পারছে না মানুষ। এখন দেখার বিষয় থানা এবং পুলিশ অফিসারের কক্ষে বসে বৈঠক করা অফিসারদের ভূমিকা।