স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৬ ডিসেম্বর : রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির বক্তব্য মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শূন্যপদ পূরণের ঘোষণা সবটাই ভাওতাবাজি। নির্বাচনকে সামনে রেখে এক বছর আগে থেকে ঢালাও প্রতিশ্রুতি মন্ত্রী মশাই মহাকরণের শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ থেকে বসে রাজ্যের বেকারদের উদ্দেশ্যে ঘোষণা করছেন। কিন্তু বাস্তবে যে সবটাই ফানুস তা প্রমাণ মিলছে বেকারদের আন্দোলনের মাধ্যমে।
উল্লেখ্য, মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শূন্যপদ পূরণ না হওয়ায় দীর্ঘ এক বছর পর চাকুরি প্রত্যাশী বেকাররা আবারও দপ্তরের দ্বারস্থ হয়েছে। জানা যায়, ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর রাজ্য মন্ত্রিসভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বাস্থ্য দপ্তরে ফার্মাসিস্ট নিয়োগ করার ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে ২৫ জন আয়ুর্বেদিক এবং ২২ জন হোমিওপ্যাথিক ফার্মাসিস্ট নিয়োগ করার ঘোষণা দেয় মন্ত্রীসভা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া এগোয়নি। বের হয়নি কোন প্রকারের নোটিফিকেশন। এই নিয়োগের দাবি নিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরে বহুবার ডেপুটেশন প্রদান করে আন এমপ্লয়েড আয়ুষ ফার্মাসিস্ট অফ ত্রিপুরা।
সোমবার অষ্টমবারের মতো স্বাস্থ্য অধিকর্তার নিকট ডেপুটেশন প্রদান করে তারা। এদিন গুর্খাবস্তি স্থিত স্বাস্থ্য ভবনে গিয়ে এক প্রতিনিধি দল ডেপুটেশন প্রদান করেন। এর আগে স্বাস্থ্য অধিকর্তা বলেছিলেন এপ্রিল মাসের মধ্যে তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। কিন্তু নির্বাচন ঘনিয়ে আসলেও এখনো পর্যন্ত নিয়োগ নিয়ে কোন সদুত্তর মেলেনি। নির্বাচনী দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার আগেই যাতে তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয় এই দাবি নিয়ে এদিন ডেপুটেশন প্রদান করে আন এমপ্লয়েড আয়ুষ ফার্মাসিস্ট অফ ত্রিপুরা। হোমিওপ্যাথি ও আয়ুর্বেদিক ফার্মাসিস্ট মিলিয়ে মোট ৩০ জন বর্তমানে রয়েছেন বলে জানান তারা। সুতরাং এ দিন আরো একবার স্পষ্ট হয়ে গেছে সরকার নির্বাচনের আগে কল্পতরু। বাস্তবে কতটা মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত পূরণ হচ্ছে সেটা ভালো বলতে পারবে বেকার মহল।