Sunday, February 16, 2025
বাড়িজাতীয়স্কুলগুলিতে সর্বাঙ্গীণ উন্নতির স্বার্থে সরকার নিতি গ্রহণ করেছে : রতন

স্কুলগুলিতে সর্বাঙ্গীণ উন্নতির স্বার্থে সরকার নিতি গ্রহণ করেছে : রতন

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৭ ডিসেম্বর : একটা অংশ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য মিথ্যা ছড়াচ্ছে। শিক্ষা দপ্তর ঢালাও হারে বেসরকারিকরনের পথে হাঁটছে বলে মিথ্যা রটাচ্ছে। এগুলি সম্পূর্ণ অসত্য। মঙ্গলবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে দাবি করেন শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ। গত ২৬ অক্টোবর রাজ্য মন্ত্রীসভা একটি  সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। রাজ্যে মোট স্কুলের সংখ্যা ৪২০০।

এর মধ্যে সরকারি স্কুলের সংখ্যা ২৬০০। ১৬৩০ টি স্কুল পরিচালনা করে এডিসি। এর মধ্যে ৩ টি স্কুল আছে যেখানে কোন ছাত্র ছাত্রী নেই। ৩ টি স্কুল আছে যেখানে মাত্র একজন করে পড়ুয়া আছে। ১ টি স্কুলে মাত্র ২ জন পড়ুয়া। ২টি স্কুল আছে যেখানে মাত্র তিনজন পড়ুয়া। এডিসি পরিচালিত ৪ টি স্কুলে কোন করে পড়ুয়া নেই। ২ টি স্কুলে একজন করে পড়ুয়া আছে। ৪ টি স্কুলে দুজন করে পড়ুয়া আছে। এই তথ্য তুলে ধরেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ। সেই সমস্ত স্কুল গুলিকে আবার কিভাবে নতুন উদ্যমে চালু করা যায় তার ব্যবস্থা করছে সরকার। এই স্কুলগুলির সংখ্যা বেশীর ভাগ রয়েছে গ্রামীন এলাকায়। ৪৫০ টি স্কুল রয়েছে বেসরকারি।

এগুলি সুনামের সঙ্গে কাজ করছে। দিন দিন রাজ্যে স্কুলের সংখ্যা বাড়ছে। ইতিমধ্যে ২৯ টি স্কুল সি বি এস সি -র হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আরও ৭১ টি অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। এই অবস্থায় নীতির ভুল ব্যাখ্যা করে রাজ্যের সর্বনাশ ডেকে না আনার আহ্বান জানান মন্ত্রী রতন লাল নাথ। ভুল থাকলে তা ধরিয়ে দেওয়ার বার্তা দেন। শিক্ষণ স্তর বৃদ্ধি, গ্রামীন এলাকায় উন্নত মানের স্কুল স্থাপন, শিক্ষন পদ্ধতিতে নতুনত্ব আনা, কম্পিঊটার ও আধুনিক সিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু এখনো কোন বেসরকারি স্কুল আসেনি। কারিগরি শিক্ষার প্রশিক্ষণ সহ জাতীয় মানের পরিক্ষা দেওয়ার আগাম প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য দেশের নামী স্কুলগুলিকে আহ্বান জানানো হয়েছে। এর জন্য একটা নিতি নির্ধারণ করা হয়েছে। পূর্বতন সরকার এই ক্ষেত্রে কোন সাহসী পদক্ষেপ নিতে পারেনি। নীতি মেনে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আবেদন করলে সেই মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনটি ধাপে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জমি বা ভবন দেওয়া হবে তা ৩০ বছরের জন্য সেই সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হবে। ভারত বিখ্যাত স্কুল গুলি এই আবেদন জানাতে পারবে। অবশ্যই তাদের দুটি স্কুলে পরুয়ার সংখ্যা হতে হবে ১৫০০। একটি স্কুল থাকলে তাতে পড়ুয়া থাকতে হবে ১ হাজার। সি বি এস সি বোর্ডের অধীন থাকবে হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিকে। স্কুল কোয়ালিটি ইনডেক্সে ৮৫ শতাংশ নাম্বার যদি সেই সমস্ত সিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীরা পর পর তিন বছর পায় তবেই তারা আবেদন করতে পারে। সেই ক্ষেত্রে তাদের সরকার জমির ক্ষেত্রে ৭৫ শতাংশের ছাড়া দেবে। ৮০ থেকে ৮৪ শতাংশ হলে তাকে ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে। এই সমস্ত স্কুলে টেট উত্তীর্ণ শিক্ষক থাকতে হবে। পড়ুয়াদের বিনামূল্যে পড়াতে হবে। তার শিক্ষণ সামগ্রী ও পোশাক দেবে সরকার। অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল ছাত্র ছাত্রীদের জন্য ২৫ শতাংশ সংরক্ষণ থাকবে। গ্রামাঞ্চলে গুনগত শিক্ষার মান বারাতে এবং স্কুল গুলিতে সর্বাঙ্গীণ উন্নতির স্বার্থে সরকার এই নিতি রয়েছে। এই নিতি সাহসী পদক্ষেপ বলেও জানান তিনি। এই নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর মানেই হয় না বলে জানান মন্ত্রী। এই অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে সিপিএম থেকে। সরকারী, বেসরকারি সকলে মিলে রাজ্যের শিক্ষাকে আরও উন্নত স্তরে নিয়ে যাওয়ার এই প্রচেষ্টা বলে জানান মন্ত্রী।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য