স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২০ ডিসেম্বর : সরকারি চাকুরি ক্ষেত্রে সংরক্ষণ নিতি সঠিক রাখার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। তাই মঙ্গলবার এস টি জি টি চাকুরী প্রার্থীরা শিক্ষামন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে সকলকে একসাথে নিয়োগ করার দাবি জানায়। কারণ যে মামলা নিয়ে এতদিন ধরে এক জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে আছিল তার নিষ্পত্তি হয়েছে। এখন সেই মামলার নিস্পত্তি ঘটেছে।
আর তাই শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে এখন সদুত্তর মিলবে বলে আশা ব্যক্ত করে যায় তারা। এই ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত তাদের সদুত্তর মিলবে সরকারের পক্ষ থেকে। এদিন এক প্রতিনিধি দল শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে তেমন কোন সচেতন না পেয়ে হতাশ হয়ে তারা জানান শিক্ষামন্ত্রী তাদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন সদুত্তর দেয়নি। অর্থ দপ্তরের উপর সিদ্ধান্ত ছেড়েছেন মন্ত্রী। ২৩০ জনের বেশি নিয়োগ করা সম্ভব নয় বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। এই ক্ষেত্রে এস টি জি টি চাকরি প্রার্থীদের বক্তব্য শূন্যপদ রয়েছে আরো বেশি। অথচ কেন নিয়োগ করা হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তারা। এবং তারা ক্ষোভ উগড়ে বলেন, শিক্ষামন্ত্রী মশাই স্কুলগুলি স্কুলগুলি খোলা রাখার কি প্রয়োজন, বন্ধ করে দিলে পারেন।
শেষ পর্যন্ত শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে হতাশ হয়ে অর্থমন্ত্রী তথা উপমুখ্যমন্ত্রী কাছে যান তারা। সেখানে গিয়ে এক প্রতিনিধি দল অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। দীর্ঘক্ষন তাদের সঙ্গে কথা বলেন অর্থমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা। পরে তিনি জানান তাদের মনে কষ্ট রয়েছে। তাদের বক্তব্য শুনতে হবে। এই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন। তাদের মধ্যে ধারনা রয়েছে অর্থদপ্তর ও মন্ত্রী চাইলেই সমস্ত কিছু সম্ভব। কিন্তু বাস্তবে এটা হয় না। সম্মিলিত সিদ্ধান্তের উপর মন্ত্রীসভা চলে। একজন মন্ত্রীর পক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়ে সম্ভব নয়। রুটিন ম্যাটার গুলি মন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কিন্তু পলিসি ম্যাটার সম্মিলিত সিদ্ধান্ত ছাড়া সম্ভব নয় বলে জানান তিনি। শীঘ্রই আলোচনায় বসে এই বিষয়ে সমাধান বের করা হবে বলে আশ্বাস দেন উপমুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে অর্থ মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় সন্তোষ ব্যক্ত করেন এস টি জি টি উত্তীর্ণরা। বুধবার এই নিয়ে মহাকরণে তাদের ডাকা হয়েছে বলে জানান তিনি। সেখানে তাদের সমস্ত বিষয়ে স্পষ্ট করে দেওয়া হবে।
বর্তমান সরকারের এহেন ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বেকার মহল। নির্বাচন আসন্ন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী এক মাসের মধ্যে ভারতের নির্বাচন কমিশন ত্রিপুরার নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করবে। সরকার নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল আগামী এক মাসের মধ্যে কতটা নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবে সেটাও বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।