স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৯ ডিসেম্বর : রাজ্যে দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে যোগ্য জবাব দেবে জনতা। তাই জনতা যাতে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে যোগ্য রায় ঘোষণা করে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করে তার জন্য ত্রিপুরা তপশিলি জাতি সমন্বয় সমিতির পক্ষ থেকে মানুষের ঘরে ঘরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার মেলারমাঠ স্থিত ডঃ বি আর আম্বেদকর ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ বিষয়ে জানান সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তথা বিধায়ক সুধন দাস।
তিনি জানান,গত ২ এপ্রিল এক সমাবেশের মধ্য দিয়ে বি জে পি এবং আই পি এফ টি জোট সরকারের বিরুদ্ধে আগরতলা ১৬ দফা দাখিল করা হয়েছিল। তারপর ৮ মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি। বরং তপশিলি জাতি এবং তপশিলি উপজাতিদের উপর আক্রমণ বাড়ছে। গোটা দেশে মহিলাদের উপর ৪৫ শতাংশ আক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন ১০ জন দলিত মহিলা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। ৮৫ শতাংশ মানুষ ভূমিহীন। এখন পর্যন্ত ৬ জন খুন হয়েছে। একইভাবে রাজ্যে তপশিলি জাতি ও তপশিলি উপজাতি অংশের মানুষের উপর আক্রমণ বেড়েছে। আসামী গ্রেফতার নেই। তাদের বাঁচার অধিকারের উপর পর্যন্ত প্রভাব ফেলছে তারা।
এমনকি তপশিলি জাতি ও তপশিলি উপজাতি অংশের মানুষের শিক্ষা ও কর্ম সংস্থানের ক্ষেত্রে যে সুযোগ-সুবিধা ছিল তা পর্যন্ত বন্ধ করে দিচ্ছে এ সরকার। এতে সাংঘাতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তপশিলি অংশের মানুষ। একইভাবে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও প্রতারণা করেছে এ সরকার। তাই মানুষ অভিজ্ঞতা নিরিখে যাচাই করার জন্য আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে বর্তমান সরকারের প্রতারণা দলিল নিয়ে যাওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার জবাব চাওয়ার জন্য এটা উপযুক্ত সময়। মানুষ যাতে দুঃশাসনের অবসান করতে যোগ্য জবাব দেয়। এবং রাজ্যে যাতে একটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত করে তার দাবি জানানো হবে। কারণ রাজ্যে গণতন্ত্র হত্যা করা হচ্ছে। তাই এর থেকে পরিত্রাণ পেতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছিল। যেহেতু কোন সাড়া পায়নি তাই চূড়ান্ত রায়ের ঘোষণার জন্য বলে জানান তিনি। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনের এদিনের সেরা উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নেতা বিপদ বন্ধু দাস সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।