স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৮ ডিসেম্বর : প্রতিটি মানুষের জন্য মানবাধিকার হলো জন্মগত অধিকার। জাতি ধর্ম-বর্ণ, ভাষা এবং রাষ্ট্র ও নির্বিশেষে যে অধিকারগুলো প্রতিটি মানুষ মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার জন্য ভোগ করার অধিকার সেগুলো হলো মানবাধিকার। ভারতের সংবিধান নাগরিকদের মৌলিক অধিকার গুলি সুরক্ষা করেছে। এই অধিকারগুলোকে খন্ডন করা যায় না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসীরা পর রাষ্ট্রনায়কগণ রাষ্ট্রসঙ্ঘের সূচনা করে এবং ১৯৪৮ সনে ১০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদ মানবাধিকার সনদ ঘোষণা করে।
ওই সনদ এর মূল বিষয় ভারতের সংবিধানের মৌলিক অধিকারের মধ্যেও সুরক্ষিত রয়েছে। বৃহস্পতিবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই বিষয়ে জানান রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান প্রাক্তন বিচারপতি স্বপন চন্দ্র দাস। গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হল প্রতিটি মানুষের অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতনতা। মানুষ যতই সচেতন হবে গণতন্ত্রের ভিত্তি ততই সুরক্ষিত হবে। মৌলিক অধিকারগুলো সুরক্ষিত না থাকলে গণতন্ত্র সুরক্ষিত থাকতে পারেনা। ভারতের পার্লামেন্টে ১৯৯৩ সালে মানবাধিকার সুরক্ষা আইন পাস করে এবং এতে বলা হয় যে প্রতিটি নাগরিকের জীবন স্বাধীনতা সাম্যতা এবং আত্মমর্যাদা যাতে ভারতের সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত এবং অন্যান্য ২০১৬ সালে ত্রিপুরা রাজ্য মানবাধিকার কমিশন গঠিত হয়। রাজ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে তদন্ত করে উপযুক্ত নির্দেশিকা দেওয়ার জন্য সক্রিয় রাজ্য মানবাধিকার কমিশন।
সারা বিশ্বে ১০ ডিসেম্বর প্রতিবছর মানবাধিকার সুরক্ষা দিবস হিসেবে মানা হয় এবং এর উদ্দেশ্য হলো মানুষকে সর্বপ্রথম ভাবে সচেতন করা। আগামী ১০ ডিসেম্বর শনিবার রবীন্দ্র ভবন দু’নম্বর হলে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন এই দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পালন করছে। এদিনের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে জানান রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান স্বপন চন্দ্র দাস।