স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৭ ডিসেম্বর : এবার সন্ত্রাসের খাতায় নাম লেখাল রাজ্যের মহিলা মোর্চা নেত্রীরা। গত পৌনে পাঁচ বছরে রাজ্যের মানুষের বাইক বাহিনীর অভিজ্ঞতা থেকে শুরু করে আরো অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। কিন্তু মহিলা মোর্চার কেউ কেউ যে সন্ত্রাসের ঘটনায় নাম লেখাতে পারে তার ধারণা ছিলনা আপামর জনগণের। এবার মহিলা মোর্চার নেত্রীদের নাম উঠলো সন্ত্রাসের খাতায়। মঙ্গলবার রাতে পূর্ব মহিলা থানার অন্তর্গত কাশিপুর বাজার থেকে চন্দ্রপুর নিজ বাড়ি ফেরার সময় কাজল দেবনাথ নামে এক মহিলা কংগ্রেস কর্মীকে রাস্তার মধ্যে আটক করে মারধর করে শাসকদল বিজেপি মহিলা মোর্চার কর্মীরা বলে অভিযোগ।
জানা যায়, এই মহিলা কংগ্রেস কর্মী ৬ আগরতলা এলাকার কংগ্রেসের বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনের অন্যতম অনুগামী। এদিন রাস্তায় পেয়ে কংগ্রেস করার অপরাধে বেশ কয়েকজন বিজেপির মহিলা মিলে তাকে মারধোর করছে। পাশাপাশি অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেছে বলে অভিযোগ। বুধবার মহিলা কংগ্রেসের কর্মীরা আহত কংগ্রেস কর্মী কাজল দেবনাথকে সাথে নিয়ে পূর্ব মহিলা থানায় যায়। ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। আহত কংগ্রেস কর্মী কাজল দেবনাথ বলেন তার স্বামীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছিলেন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন। তারপর থেকে তিনি সুদীপ রায় বর্মনের হয়ে কংগ্রেসের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ করে আসছেন।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে এদিন তাকে আটক জিজ্ঞাসা করা হয় সুদীপ রায় বর্মন কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে চলে আসবেন, তখন তিনি কোন পথ অনুসরণ করবেন? এর পরিপ্রেক্ষিতে মহিলা কংগ্রেস কর্মী বলেন তাহলে তিনিও বিজেপিতে চলে আসবেন। তখন কংগ্রেস কর্মী কাজল দেবনাথ এবং তার স্বামী ও ছেলেকে প্রাননাশের হুমকি দেয় মহিলা মোর্চার দুর্বৃত্তরা। এবং যারা এই প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে তারা মহিলা মোর্চার কৃষ্ণ সরকার এবং মন্টি সরকার। তারপর এর প্রতিবাদ করলে তাকে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করে। শেষ পর্যন্ত সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। তারপর পরিবারের লোকজনেরা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। কাজল দেবনাথ থানায় মামলা দায়ের করলেও পুলিশের পক্ষে থেকে তেমন কোন সাড়া পান নি। মহিলা পুলিশ কর্মীরা শুধু বলেছেন তারা যাবেন কথা বলবেন অভিযুক্ত কৃষ্ণ সরকার ও মন্টি সরকারের সাথে। কিন্তু কাজল দেবনাথ দাবি তুলেছেন তার পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। কারণ তিনি সুদীপ রায় বর্মনের অনুগামী হয়ে কংগ্রেসের জন্য কাজ করতে চান। কারণ সুদীপ রায় বর্মন তার সিঁথির সিধুর বাঁচিয়েছেন স্বামীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে আর্থিক সহযোগিতা করে। তবে এই দিন উপস্থিত অন্যান্য কংগ্রেস কর্মীরা জানান যদি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত না হয় এবং অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার না হয় তাহলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে। কিন্তু এই দিনের ঘটনা আবারো স্পষ্ট করে দিল সুশাসন জামানায় রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে।