Saturday, January 18, 2025
বাড়িরাজ্যজাক জমকভাবে অনুষ্ঠিত হলো আন্তর্জাতিক দিব্যাঙ্গন দিবস

জাক জমকভাবে অনুষ্ঠিত হলো আন্তর্জাতিক দিব্যাঙ্গন দিবস

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩ ডিসেম্বর :  প্রতিবছরের মতো এবারও দিব্যাঙ্গন দিবসে দরদে ঘেমে গেলেন সংশ্লিষ্ট দপ্তর এবং দপ্তরের মন্ত্রী মশাইরা। ব্যাপক জাঁকজমক ভাবে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে দিব্যাঙ্গন দিবস উদযাপন করা হয়। এদিন সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক দিব্যাঙ্গন দিবস মন্ত্রীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়। প্রদীপ প্রজ্জলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন দিব্যাঙ্গনরা যেন কোন অবস্থায় পিছিয়ে না যায়, তারাও যেন স্বাভাবিক মানুষের মতো জীবনযাপন করতে পারে তার জন্য রাজ্য সরকার কাজ করছে। দিব্যাঙ্গনরা নিজেদের হাতে অনেক কিছু তৈরি করেছে, যা একজন স্বাভাবিক মানুষ তৈরি করতে পারে নি। দিব্যাঙ্গনরা সমাজের থেকে আলাদা এই অনুভুতি যেন কোন সময় দিব্যাঙ্গনদের মনের মধ্যে না আসে তার প্রতি সকলকে লক্ষ্য রাখতে হবে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। কিন্তু দিব্যাঙ্গনদের বহু দাবি দাওয়া নিয়ে সারা বছর চিৎকার করলেও সরকারের কানে পৌঁছায় না সেই শব্দ। আর বছর ঘোরে যখন দিব্যাঙ্গন দিবস আসে তখন বছরে একটা দিন দপ্তরের আধিকারিক থেকে শুরু করে মন্ত্রীরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দেয়। আর মঞ্চে দাঁড়িয়ে বড় বড় ভাষণ দিয়ে যান। কিন্তু দিব্যাঙ্গনরা যে সমাজের একটা অংশ এবং তাদের দ্বারা যে সমাজ এগিয়ে যেতে পারে সে কথাতেই ভুলে যায় সরকার বাহাদুর। সবটাই যেন আন্তর্জাতিক দিবসেই সীমাবদ্ধ থাকে।

 এর থেকে বের হয়ে না আসতে পারলে সমাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে বলে অভিমত দিব্যাঙ্গনদের বিভিন্ন সংগঠন ও অভিজ্ঞ মহলের। আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ দিন এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা দেব সরকার। তিনি এদিন বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠানে গিয়ে দিব্যাঙ্গন শব্দটি উল্লেখ করতে ভুলে যান। শারীরিকভাবে যারা দুর্বল তাদের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী সম্মান জানিয়ে প্রতিবন্ধী শব্দের পরিবর্তে দিব্যাঙ্গন শব্দটি ব্যবহার করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। কারণ তারা শারীরিকভাবে দুর্বল হলেও সমাজে তাদের দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব। তাই তাদের প্রতি সম্মান জানাতে প্রতিবন্ধী শব্দের পরিবর্তে দিব্যাংকন শব্দটি ব্যবহার করার জন্য বলা হলেও সভাধিপতি অন্তরা দেব সরকার ভুলে গেছেন। কিন্তু এ ধরনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে এমন ভুল করা সাধারণত নজিরবিহীন বলা চলে। অনুষ্ঠানে সুবিধাভোগী দিব্যাঙ্গনদের চলন সামগ্রি সহ প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন সামগ্রী প্রদান করা হয়।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য