স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১ ডিসেম্বর : দিনভর বহু প্রতিক্ষার পর বৃহস্পতিবার বিকেলে চড়িলামের উত্তরমুড়া এলাকায় পৌঁছল রাজনৈতিক সন্ত্রাসে বলি সহিদ মিঞার মৃতদেহ। শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকায়। কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার পরিজন। উল্লেখ্য, বুধবার চড়িলাম বাজার এলাকায় সিপিআইএম দলের একটি পথসভা এবং ডেপুটেশন প্রদান কর্মসূচি চলার সময়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়েছিল।
অভিযোগ শাসক দল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতিকারীদের ছোড়া ইট পাটকেলে গুরুতর আহত হয়েছিলেন শহীদ মিয়া নামের এক প্রবীণ সিপিআইএম কর্মী। রক্তাক্ত অবস্থায় আগরতলা জিবি হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসায় সাড়া দেওয়ার আগেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। রাজনৈতিক পরিমণ্ডল রীতিমত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শহীদ মিঞার পরিজনেরা বৃহস্পতিবার সকালে জিবি হাসপাতালে মৃতদেহ নেওয়ার জন্য এলে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নেয় প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য। সেই মুহূর্তে নিহত শহীদ নেয়ার পরিজনেরা মৃতদেহ না পেয়ে শূন্য হাতে ফিরে যায়। পরবর্তী সময়ে এদিন বিকেলে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শেষ করার পর পুলিশ সহীদ মিঞার মরদেহ নিয়ে চরিলামের উত্তরমুড়া এলাকায় যায়। কিন্তু নিহতের আত্মীয় পরিজনেরা মৃতদেহ গ্রহণ করেনি।
দীর্ঘ সময় পর এই মৃতদেহ পুলিশের কাছ থেকে নিয়ে নেন আত্মীয় পরিজনেরা। মৃত শহীদ মিঞার বাড়িতে বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মী সমর্থকরা ছুটে যান। উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী। তিনি এদিন দুঃখ প্রকাশ করে বলেন এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। কিন্তু এভাবে একচেটিয়া চলতে পারে না। বিজেপির এই ধরনের একচেটিয়া কেউই সমর্থন করছে না। বিজেপির আক্রমণে মদত করছে কিছু পুলিশ অফিসার। সে সব পুলিশ অফিসারদের ব্যবস্থা করা হবে এমনটাই হুশিয়ারি সুরে জানান জিতেন্দ্র চৌধুরী। তিনি আরো বলেন এ ঘটনা বিবেক আন্দোলিত হয়। এই রাজনীতিক খুনের পর তিপ্রা মথার চেয়ারম্যান প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মনের সাথে কথা হয়েছে। তিনি অত্যন্ত দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কথা বলেছেন। এদিকে কংগ্রেস সভাপতি এবং বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনের সাথেও কথা বলেছেন বলে জানান। গত ৫৭ মাস ধরে রাজ্যে যেভাবে গণতন্ত্রের হত্যা লীলা চলছে এটা বন্ধ করতে আগামী দিনে জনগণে দাবি অনুযায়ী সকলে একসাথে কাজ করবে বলে জানান জিতেন্দ্র চৌধুরী। এদিকে তিপ্রা মথার একটি প্রতিনিধি দল গিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান প্রয়াত সিপিআইএম কর্মীর প্রতি। এ রাজনৈতিক খুনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।