স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৯ নভেম্বর : সিপিআইএম, কংগ্রেস এবং বিজেপি সবকটি রাজনৈতিক দল জনজাতি ভোটকে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় আসতে চাইছে। গত ২৮ নভেম্বর সিপিআইএম দলের একটি অনুষ্ঠানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার রাজনৈতিক তথা ভোটের স্বার্থে বাঙ্গালীদের সর্বনাশা তিপ্রা মথার গ্রেটার তিপরাল্যান্ডের দাবি সমর্থন করে বক্তব্য রেখেছেন। এর তীব্র বিরোধিতা করে মঙ্গলবার আমরা বাঙালি রাজ্য কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বিরোধী দলনেতার কুশপতুল পোড়ানো হয়।
তারা দাবি করেন, গ্রেটার তিপরাল্যান্ডের দাবি অযৌক্তিক। তাই এই দাবি সমর্থন করে না আমরা বাঙালি দল। কারণ এ দাবি রাজ্যের জাতি জনজাতিদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে পারে। পাশাপাশি এদিন তিনি সিপিআইএমের বিরুদ্ধে আঙ্গুল তুলে বলেন ১৯৮৮ সালে ত্রিপুরা রাজ্যে সিপিআইএম-এর আমলে উগ্রপন্থীর সৃষ্টি হয়েছিল। যার ফলে তৎকালীন সময়ে উগ্রপন্থীর তাণ্ডবে হাজার হাজার মানুষ হত্যা হয়েছিল। তাই সিপিআইএমের তুষণ নীতি এবং গদি দখলের রাজনীতি এখনো রাজ্যে অব্যাহত রাখার চেষ্টা করছে। বর্তমান সময়ে সিপিআইএমের এ ধরনের রাজনীতির আর চলতে দেওয়া যায় না। বাঙালি অংশের মানুষের পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে। বাচার রাস্তা নেই।
পাশাপাশি তিনি কংগ্রেসের বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বললেন, গ্রেটার তিপরাল্যান্ডের দাবি অসাংবিধানিক নয় বলে দাবি করছেন সুদীপ রায় বর্মন। একই পথে হাঁটছে বিজেপি। সরাসরি গ্রেটার তিপরাল্যান্ডের দাবি সমর্থন না করলেও টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল করতে চাইছে। তাই সকলের একটাই লক্ষ্য জনজাতির ভোট ভাগে নিয়ে ক্ষমতা দখল করা। তাই এধরনের চূড়ান্ত সাম্প্রতিক রাজনীতির বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানান আমরা বাঙালির রাজ্য সচিব গৌরাঙ্গ রুদ্র পাল।