Wednesday, November 29, 2023
বাড়িরাজ্যআসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা প্রতারক : মানিক

আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা প্রতারক : মানিক

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৭ নভেম্বর। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি কৌশল করে অসত্য কথা বলছে। আর সাংবাদিকদের প্রশ্নে যখন লেজে গোবরে মিশে যাচ্ছে তখন বাইরে থেকে লোক ভাড়া করে আনতে হচ্ছে তাদের। আর এটা স্পষ্ট উদাহরণ আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। রবিবার সি আই টি ইউ রাজ্য দপ্তরে সারা ভারত শ্রমজীবী নারী সমন্বয় কমিটির নবম রাজ্য কনভেনশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আসামের মুখ্যমন্ত্রীকে প্রতারক বলে এমনটাই বললেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। তিনি বলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বাশর্মা ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের অসত্য কথা বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সরকারের প্রতিষ্ঠিত হয়ে প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে সরকারি কর্মচারীদের জন্য সপ্তম বেতন কমিশন ঘোষণা করা হবে। কর্মচারীরা নিজেরা বিভ্রান্ত হয়ে তাদের পরিবারকেও বিভ্রান্ত করে বর্তমান জোট সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে একটা বড় ভূমিকা পালন করেছিল। সপ্তম বেতন কমিশনের মধ্য দিয়ে বেতন দ্বিগুণ হওয়া সরকারি কর্মচারীদের কাছে এটা স্বপ্নের পাওয়ার মতো। আর প্রতিশ্রুতি যখন বাস্তবায়ন করতে পারিনি তখন আবার রাজ্যে এসে বলছেন ১০৫ ভাগ প্রতিশ্রুতি পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। তখন তিনি প্রতিশ্রুতি যাওয়ার সময় বলেছিলেন যদি সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়ে ২৯৯ টি প্রতিশ্রুতি পালন করতে না পারে তাহলে যেন তাকে ত্রিপুরায় প্রবেশ করতে না দেওয়া হয়। কিন্তু দেখা গেছে প্রতিশ্রুতি পালন না হলেও তিনি রাজ্যের মানুষকে আবারো বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। এর তীব্র সমালোচনা করেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার।

বিজেপি ভাবছে পঞ্চায়েত, নগর সংস্থা, এডিসি এবং উপনির্বাচন তারা যেভাবে সন্ত্রাস করে সংঘটিত করেছে, সেভাবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সংগঠিত করতে পারবে। কিন্তু এটা সহজ নয়। মানুষ বুঝে গেছে তাদের এই কৌশল। এবং বিজেপির জোট সঙ্গী আইপিএফটির অবস্থা করুন। শূন্যের কোঠায় এসে পৌঁছেছে তারা। শরীর দলের বহু নেতৃত্ব এখন তিপ্রা মথায় চলে গেছে। তারাও ভেবেছিল সরকারের প্রতিষ্ঠিত হলে তিন মাসের মধ্যে পৃথক রাজ্য হবে। এটা প্রথম থেকেই বামেরা বলে যাচ্ছে অসম্ভব। গ্রেটার তিপরাল্যান্ড নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে মানুষকে ব্যাখ্যা দিয়ে বিভ্রান্ত করছে তিপ্রা মথার নেতৃত্ব। তিপ্রা মথা এডিসি এলাকায় তারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দেড় বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত তারা কোন উন্নয়ন করতে পারেনি। কাজ ও খাদ্যের চরম অভাব। রাস্তাঘাটের অবস্থা করুন। এডিসি এলাকার মানুষ শুকিয়ে মরছে বলে জানান বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার।

বিজেপি শাসনে ত্রিপুরায় মানুষ দাবি নিয়ে সোচ্চার হতে পারছে না। নারী-পুরুষ সকলে আক্রান্ত হচ্ছে। এ সরকার আসার পর মহিলারা নিজেদের সুরক্ষার জন্য বা বিচার চাইতে মহিলা কমিশন বা পুলিশের দ্বারস্থ পর্যন্ত হতে পারছে না। এখন অপরাধীকে রক্ষা করতে সরকার পুলিশ এবং শাসকদল ঐক্যবদ্ধভাবে ভূমিকা নিতে চাইছে বলে তীব্র সমালোচনা করলেন বিরোধী দলনেতা। আয়োজিত সম্মেলনে এদিন এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সি আই টি ইউ সভাপতি মানিক দে, সাধারণ সম্পাদক শংকর প্রসাদ দত্ত সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য