স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৫ নভেম্বর : সুশাসনের জামানায় শাসক দলের সন্ত্রাস বন্ধের নাম নেই।আবারো কংগ্রেসের ভারত জুড়ো ত্রিপুরা বাঁচাও কর্মসূচিতে শাসক দলের দুর্বৃত্তদের অতর্কিত হামলার অভিযোগ। ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে ১৮ সূর্যমনিনগর বিধানসভা কেন্দ্রের আমতলী বাইপাস সংলগ্ন এলাকায়। জানা যায়, শুক্রবার সকালে কংগ্রেসের এই পদযাত্রাটি শুরু হওয়ার পর একাধিকবার বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে স্থানীয় বিজেপি দুর্বৃত্তরা। কিন্তু মিছিলটি এগিয়ে গেলে স্থানীয় মন্ডল সভাপতি মান্তু দেবনাথের নেতৃত্বে বিজেপির দুর্বৃত্তরা পদযাত্রার উপর হামলা করে বলে অভিযোগ।
ভাঙচুর করা হয় কংগ্রেসের গাড়িটি। গাড়ির সামনে এদিন মান্তু দেবনাথ পিস্তল উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে দা লাঠি রড দিয়ে কর্মীদের মারধর করে এবং গাড়ি ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে চারজন কংগ্রেস কর্মী। এ ধরনের ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পরিপেক্ষিতে বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন জানান শাসকদলের কাছে রয়েছে শুধু অর্থ আর গুন্ডাবাহিনী। আর এইগুলি তাদের পুঁজি। তাই তারা জনসমর্থন হারিয়েছে। আর কংগ্রেস যখন তাদের অপ্রশাসনের বিরুদ্ধে ভারত জুড়ো ত্রিপুরা বাঁচাও কর্মসূচি হাতে নিয়ে মানুষের জনসমর্থন পাচ্ছে, তখন শাসকদের ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে এ ধরনের ঘটনা সংঘটিত করছে।
এগুলি করে শাসক দলের জনসমর্থন আরো শূন্যের কোঠায় চলে গেছে। এদিনের ঘটনা সংঘটিত হওয়ার সময় কংগ্রেস কর্মীরা যখন আমতলী থানায় গিয়ে আশ্রয় নেয় তখন পুলিশ তাদের থানা থেকে বের করে দেয় বলে অভিযোগ সুদীপ রায় বর্মনের। আরো বলেন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ত্রিপুরা রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা যথেষ্ট ভালো স্থানে রয়েছে। আসলে বিজেপি একটা মিথ্যাবাদী দল। জালিয়াতি আর প্রতারণা করে ঘুরে বেড়ানো তাদের কাজ। তাই এ কথাগুলি কাউন্টার করতে ঘৃণা হয় বলে জানান সুদীপ রায় বর্মন। আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যায় হাসপাতালে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনার পর প্রদেশ কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দ আমতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। এ দিনে পদযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা, বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এই কর্মসূচি মূলত ত্রিপুরাকে বিজেপি অপ্রশাসন থেকে মুক্ত করার জন্য গত ১৯ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে। রাজ্যের সবকটি বিধানসভা কেন্দ্রে এই পদযাত্রার আয়োজন করার উদ্যোগ নিয়েছে কংগ্রেস। এদিনের ঘটনায় ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ, টি এস আর সহ আধা সামরিক বাহিনী।