স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৪ নভেম্বর : আগামী ২৬ নভেম্বর দিল্লিতে ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলনের তৃতীয় বর্ষপূর্তি। এই দিনটিকে সামনে রেখে অতি সম্প্রতি সংযুক্ত কিষান মোর্চা দুই দুটি সভা সংগঠিত করেছে। সেই সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে ২৬ নভেম্বর কৃষক আন্দোলনের অপূর্ণ আট দফা দাবির সমর্থনে দেশের রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্যে স্মারক লিপি প্রদান করা হবে। দেশের প্রতিটি রাজ্যের রাজ্যপালের নিকট ৮ দফা দাবি সম্মলিত স্মারকলিপি পেশ করা হবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর মেলারমাঠ স্থিত সংযুক্ত কিষান মোর্চার কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই সংবাদ জানান সংযুক্ত কিষান মোর্চার রাজ্য সম্পাদক পবিত্র কর।
তিনি আরো জানান ২০২১ সালের ২৬ নভেম্বর সংযুক্ত কৃষাণ মোর্চা এই আন্দোলনের সূচনা করেছিল। সাংবাদিক সম্মেলনে পবিত্র কর আরও জানান ২৬ নভেম্বর কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন সমূহের আহব্বানে দেশব্যাপী শ্রমিক ধর্মঘট পালন করা হয়েছিল। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা এই ধর্মঘটের সমর্থনে গ্রামীণ ভারত বনধ-এর ডাক দিয়েছিল। সেই দিন পাঞ্জাব থেকে তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে সংযুক্ত কিষান মোর্চা দিল্লি অভিযান শুরু করে। এই অভিযান পাঞ্জাব অতিক্রম করে হরিয়ানায় প্রবেশ করার পর হরিয়ানা সরকারকে দিয়ে শুরু হয় দমন পীড়ন। পুলিশের বাধাকে উপেক্ষা করে দিল্লির পাঁচটি সীমান্ত দিয়ে দিল্লি পৌঁছানোর লক্ষ্যে কৃষকরা রওনা হয়। শেষ পর্যন্ত বহু বাধাকে উপেক্ষা করে কৃষকরা তাদের আন্দোলনে সফল হয়।
রাজ্যে বীজ নেই, সার নেই, জলসেচ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, মান্ডি ব্যবস্থা , সব চলে গেছে কালোবাজারি লুটেরাদের হাতে। দেশের অবস্থাও তথৈবচ। কেন্দ্রীয় খাদ্য ভান্ডার তলানিতে ঠেকেছে ফলে রপ্তানি সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ রেখেছে। রেশনের দোকানে গরিবের জন্য পাঁচ টাকা মূল্যের চাল প্রদানও বন্ধ হবার পথে। সংযুক্ত কিষান মোর্চা ত্রিপুরা মনে করে এই মুহূর্তে রাজ্য এক ভয়াবহ কৃষি সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে, এর জন্য সরাসরি সরকারের দায়ত্বহীনতা ও ব্যর্থতার দায় সরকারকেই নিতে হবে। সেজন্য সংযুক্ত কিষান মোর্চা বসে থাকবে না। কৃষাণ মোর্চা নিশ্চিত এই রাজ্যে ও দেশে খাদ্য শস্যের অভাব দেখা দেবেই। যার মূল্য চোকাতে হবে সাধারণ মানুষকে।