Wednesday, April 17, 2024
বাড়িরাজ্য২০২৩ -এর আগে আগামী এক বছর হবে ওয়ান লাস্ট ফাইট : প্রদ্যুৎ

২০২৩ -এর আগে আগামী এক বছর হবে ওয়ান লাস্ট ফাইট : প্রদ্যুৎ

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১ ডিসেম্বর : দিল্লির যন্তর-মন্তরে গিয়ে বিজেপি’র বিরুদ্ধে আঙুল তুললেন প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন। বুধবার ছিল দিল্লির যন্তর মন্তরে আই পি এফ টি এবং তিপ্রা মথার ধর্নার দ্বিতীয় দিন। এদিন প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন মঞ্চ থেকে গ্রেটার তিপরাল্যান্ডের জোরালো দাবি তোলে বলেন, গ্রেটার তিপরাল্যান্ডের দাবি নিয়ে কোনোরকম আপস করা হবে না। গ্রেটার তিপরাল্যান্ডের জন্য ইস্তফা দিয়েছেন।

 রাজ্যসভার থেকে মন্ত্রী পর্যন্ত বহু অফার এসেছে। জাতির কথা ভেবে তিনি বিজেপি’র কোন ললিপপ নেননি। যেদিন ললিপপ নেবে সেদিন তিপ্রাসা দাবি শেষ হয়ে যাবে। তা তিনি বুঝতে পেরে ললিপপের ফাঁদে পা দেন নি। ২০২৩ -এ সিঙ্গেল পয়েন্ট এজেন্ডা হবে গ্রেটার তিপরাল্যান্ড। কিন্তু জেনে রাখতে হবে অফার নিয়ে বিজেপি আসবে। কিন্তু নির্বাচন শেষ হলে কিছু পাওয়া যাবে না। এইগুলি দিয়ে শুধু থানসা ভাঙবে। তাই মেবার কুমার জমাতিয়াকে বলা হচ্ছে যাতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই ময়দানে আসেন। এবং আগামী ২০২৩ -এ ৪৫ আসনের লক্ষে এক হতে হবে। তাহলেই পরবর্তী সরকার আঞ্চলিক দলের হাতের কমান্ড হবে বলে জানান প্রদ্যুৎ। পাশাপাশি এদিন তিনি তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেন, কেউ কেউ খেলা হবে বলছে। খেলা হবে না। গ্রেটার তিপরাল্যান্ড হবে। আই পি এফ টি এবং তিপ্রা মথা মিলে ওয়ান সিঙ্গেল পার্টি হতে হবে। গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করতে হবে। আর তিপ্রাসাদের বুঝতে হবে প্রদ্যুৎ বিক্রম মানিক্যকে কেউ কিনতে পারবে না। শুধু মাত্র একটি বছর সময় দিতে হবে। তাহলে ত্রিপুরার তিপ্রাসাদের ভবিষ্যৎ দেখতে পারবে। আর এটাই লাস্ট ফাইট বলে মঞ্চ থেকে হুঁশিয়ারি দেন প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন।

এদিকে এদিন মঞ্চে উপস্থিত আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিং বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন অনেক ছোট। তিনি কৃষি আইন যখন পার্লামেন্টে পাশ করেছিলেন তখন বলা হয়েছিল এটি কৃষকদের জন্য কালো আইন। কিন্তু বিরোধী দলের সাংসদদের কথা শুনেননি। কিন্তু এখন এই কালো আইন এক বছর পর প্রত্যাহার করেছে। এ কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকরা আন্দোলনের নেমে সাড়ে সাত শতাধিক কৃষক শহিদ হয়েছেন। কিন্তু তারপরও কৃষি আইন প্রত্যাহার করে ছেড়েছে কৃষকরা। এটা হিন্দুস্তানের আন্দোলনকারীদের শক্তি। সড়ক খামোশ হয়ে গেলে সংসদ আওয়ারা হয়ে যাবে। তাই সড়কের আওয়াজ বাঁচিয়ে রাখতে হবে এবং সংসদের লোকদের আইন বানাতে বাধ্য করতে হবে বলে জানান তিনি।

আম আদমি পার্টির সংসদ আরো বলেন ত্রিপুরার যাদের তাদের রাজ হওয়া অত্যন্ত দরকার। এবং তাদের কথা সরকারের শুনে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। কথা না শুনলে বিজেপিকে সাফ করে দেবে মানুষ। হিমাচল প্রদেশে পরাজয় হয়ে দেশে পেট্রোল এবং ডিজেলের মূল্য হ্রাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনী মিছিল করতে গিয়েছিলেন তখন তিনি চেয়ার ফাঁকা দেখে পরাজয়ের ভয়ে তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছেন। এবং অনুরূপভাবে ২০২২ -এ যখন উত্তর প্রদেশ, পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড পরাজয় হবে তখন ত্রিপুরার পৃথক রাজ্যের দাবি মেনে নেবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি। সঞ্জয় সিং আরো বলেন পৃথক রাজ্যের দাবি আগামী পার্লামেন্ট সেশন তিনি তুলবেন। ত্রিপুরার তিপ্রাসাদের পাশে থাকার বার্তাও দেন তিনি। এদিন মঞ্চে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তিপরা মথার সভাপতি বিজয় রাঙ্খল, জগদীশ দেববর্মা, আই পি এফ টি -র সাধারণ সম্পাদক মেভার কুমার জমাতিয়া সহ শীর্ষস্তরের নেতৃত্বরা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য