স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২১ নভেম্বর : পাহাড়ে বিজেপি বনাম তিপ্রা মথার মধ্যে মূলত লড়াই হলেও জমির ছাড়তে নারাজ বামেরা। ইতিমধ্যে পাহাড়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে সিপিআইএম। শাসকগোষ্ঠীতে রুখতে সব ধরনের কৌশল গণতান্ত্রিকভাবে হাতে নিয়ে লড়াই করতে শুরু করেছে। উল্লেখ্য, গন্ডাছড়া মহকুমা অন্তর্ভুক্ত রইস্যাবাড়ী ব্লক অন্তর্গত নারিকেল কুঞ্জ এডিসি ভিলেজে সোমবার এক যোগদান সভা ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। যোগদান সভায় ৫৭ পরিবারের ১০৫ ভোটার বিজেপি, তিপ্রা মথা ও কংগ্রেস ছেড়ে সি পি আই এম -এ যোগদান করে। যোগদানকারীদের দলে স্বাগত জানান প্রাক্তন বিধায়ক ললিত ত্রিপুরা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সি পি আই এম গন্ডাছড়া মহকুমা সম্পাদক ধনঞ্জয় ত্রিপুরা, সুশান্ত হাজারী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
যোগদানের পাশাপাশি এদিন একটি মিছিল সংগঠিত হয়। মিছিলটি বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে বর্তমান সরকার উৎখাত করার আওয়াজ তুলে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ। এদিনের কর্মসূচি থেকে সিপিআইএম কর্মী সমর্থকরা দাবি জানান নারিকেল কুঞ্জে যে ঠিকাদারকে নিয়োগ করে রেখেছে, সরকার তা অবিলম্বে স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে কর্মসংস্থানের জন্য তুলে দিতে হবে। এদিন মিছিলটি শুরু হয় নারিকেল কুঞ্জ এ ডি সি ভিলেজ থেকে, বিভিন্ন পদ পরিক্রমার পর মিছিলটি শেষ হয় চন্দ্র দাস পাড়া রাবার বাগানে। সেখানে একটি সভা সংগঠিত করে কর্মী সমর্থকরা। সভায় প্রাক্তন বিধায়ক ললিত ত্রিপুরা বক্তব্য রেখে বলেন, চাকুরী নেই, খাদ্য নেই, শিক্ষা ব্যবস্থা একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছে, বেনিফিসারিদের মিলছে না সামাজিক ভাতা এবং এখন বহু বেনিফিশিয়ারির নাম কেটে দিয়ে সামাজিক ভাতা বৃদ্ধি করে দু হাজার টাকা করেছে। শুধু তাই নয় রেগার কাজ করে শ্রমিকদের টাকা মিলছে না। এমনকি রাস্তাঘাট পানীয় জল পরিষেবা কিছুই নেই পাহাড়ে। শুধুমাত্র গুন্ডারাজ চলছে। আর এই পরিস্থিতিতে মানুষের দিন যাপন করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করে সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করলেন ললিত দেববর্মা। এ দিনের মিছিল থেকে আবারো করে দিয়েছে বামেরা আগামী ২০২৩ নির্বাচনে শক্তি পরীক্ষা রীতিমতো অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির মত দেখাতে পারবে।