স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২১ নভেম্বর : নৈরাজ্য চলছে রাজ্যের দ্বিতীয় রেফারেল হাসপাতালে। অধিক মুনাফা লোককে একাংশ চিকিৎসক জেনেরিক মেডিসিন প্রেসক্রাইব করছেন না। এই বিষয়টি নজরে আসার পরেই আই জি এম হাসপাতালের সুপারের সঙ্গে কথা বলেন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান বিধায়ক ডাঃ দিলিপ দাস। সোমবার এক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে একথা বলেন তিনি। হাসপাতালে সময় ছাড়াই মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভরা চলে আসেন। চিকিৎসক ও মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভদের একে অপরের প্রয়োজন রয়েছে।
তবে তার মধ্যে সামঞ্জস্য রাখতে নির্দেশ জারি করা হয়েছে। এখন থেকে নির্দিষ্ট সময়ে আই জি এম হাসপাতালে প্রবেশ করতে পারবে মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভরা। আই এম এ- থেকে নির্দেশ রয়েছে প্রেসক্রিপসনে চিকিৎসকদের ফুল সিগনেচার করতে। এই দুটি বিষয় মেনে চলার পরামর্শ দেন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান বিধায়ক ডাঃ দীলিপ দাস। আরো বলেন, পর্যাপ্ত জেনেরিক মেডিসিন মজুত রাখতে বলা হয়েছে। তা বিনামূল্যে রোগীদের মধ্যে প্রদান করা হয়। বেশ কিছু স্থানে রয়েছে জেনেরিক মেডিসিনের কাউন্টার। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যাচ্ছে আউটডোরের চিকিৎসকেরা অনেক সময় জেনেরিক মেডিসিন লেখেন না। এতে করে গরিব মানুষের পকেট কাটা হচ্ছে। প্রতিদিন বিভিন্ন মহকুমা থেকে আইজিএম হাসপাতালে পরিষেবার জন্য ছুটে আসছে বহু গরিব অংশের মানুষ। কিন্তু চিকিৎসকরা নিজেকে লাভের জন্য মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ দের ওষধ লিখে দিচ্ছে। ফলে জেনেরিক মেডিসিন পরে থাকছে এবং বাইরে ঔষধের দোকানগুলিতে বাড়ছে ভিড়। আর এই বিষয়গুলি নিয়ে রাজ্য সরকার অবগত থাকলেও কোন ধরনের পদক্ষেপ নেয় না সেসব চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। আর যখন হাসপাতলে আসা রোগীদের পক্ষ থেকে জোরালো দাবি উঠে তখন নড়েচড়ে বসে কর্তৃপক্ষ।