Sunday, May 18, 2025
বাড়িরাজ্যবর্তমান সরকারের আমলে কর্মচারীরা ঠেকেছে : সুদীপ

বর্তমান সরকারের আমলে কর্মচারীরা ঠেকেছে : সুদীপ

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২০ নভেম্বর :  রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের প্রথম কেবিনেটে সপ্তম বেতন কমিশন প্রদান করার ঘোষণা করা হবে বলে স্বপ্ন দেখিয়ে এবং টুপি পরিয়ে রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বিজেপি ও আইপিএফটি জোট সরকার। কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠিত হয়ে সপ্তম বেতন কমিশন প্রদান করার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে নি। ফলে এই সময়ে রাজ্যের সরকারি কর্মচারী এবং অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ত্রিপুরা সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের এক দিবসীয় রাজ্য ভিত্তিক কনভেনশনে বক্তব্য রেখে এভাবেই বর্তমান সরকারের তীব্র সমালোচনা করলেন সুদীপ রায় বর্মন।

 রাজ্যের ৩০ শতাংশ সরকারি কর্মচারী বকেয়া না পেয়ে ভোট দেবে না বুঝতে পারছে সরকার। তাই ফিন্যান্স কমিশন থেকে যে অর্থ পেয়েছে সরকার তা দিয়ে প্রায় ৮ – ১০ শতাংশ ডি এ কর্মচারীতে নির্বাচনী তোফা হিসেবে প্রদান করতে পারে। তারপরও কর্মচারীরা কেন্দ্রীয় বেতনক্রম থেকে বহু টাকা বঞ্চিত থাকবে রাজ্যের কর্মচারীরা। তাই কর্মচারী সমাজ যাতে তোপে না পড়ে তার জন্য আবেদন জানান সুদীপ রায় বর্মন। তিনি আরো বলেন, এই সরকার কর্মচারী বিরোধী শুধু একটি সিদ্ধান্তই নেয়নি, একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং অনিয়মিত কর্মচারীরা আগে ১০ বছর হয়ে গেলে নিয়মিত হওয়ার সুযোগ পেতো। কিন্তু বর্তমান বিজেপি জোট সরকার এই সুযোগটা পর্যন্ত প্রত্যাহার করে দিয়েছে। নতুন করে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা রাজ্যবাসীকে বলছে না। ফলে বর্তমানে যারা অনিয়মিত কর্মচারী রয়েছে তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার দিকে ঝুলে রয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।

 পাশাপাশি এদিন হিমাচল প্রদেশকে টেনে এক প্রকার ত্রিপুরার সরকারি কর্মচারীদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। আরো বলেন হিমাচল প্রদেশের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে ওল্ড পেনশন স্কিম চালু করা হবে। কারণ গোটা দেশে সবকটি রাজ্য থেকে এই দাবিটি সরকারি কর্মচারীদের পক্ষ থেকে তোলা হচ্ছে। তাই নির্বাচনের আগে হিমাচল প্রদেশে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার। কিভাবে বেকারদের ভোট গ্রহণ করা যায়, সেদিকে হাঁটছে সরকার। এবং নির্বাচনে দু মাস আগে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে বাম আমলের মত তড়িঘড়ি করে ভুল পথে চাকরি দিতে চাইছে। ফলে তৎকালীন সরকার যেভাবে চাকরি দিয়ে আইনে বেড়াজালে পড়েছিল, একই পথ অনুসরণ করছে বর্তমান সরকার। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো জে আর বি টি -র ফলাফল নিয়ে বহু যোগ্য যুবক-যুবতী চাকরি পাবে না। তখন তারা পুনরায় মামলা করতে বাধ্য হবে। তাই এই সরকার রাজ্যের মানুষের স্বার্থে নয়। মানুষের দুঃখ দূর করার কথা তারা শুনতে চায় না। এর তীব্র বিরোধিতা করলেন তিনি। আয়োজিত কনভেনশনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি গোপাল রায়, প্রাক্তন বিধায়ক আশীষ কুমার সাহা, কংগ্রেস নেতা হরেকৃষ্ণ ভৌমিক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য