স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১১ নভেম্বর : রাজ্যে প্রতি ঘরে সুশাসন জামানায় বেকার আন্দোলন ক্রমশ ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। মন্ত্রীর বাড়ি-গাড়ি ঘেরাও করে চলছে হতাশাগ্রস্ত বেকারদের আন্দোলন। নির্বাচনের প্রাক লগ্নে সুশাসনের গল্প শোনার জন্য বেকারদের মধ্যে রক্ষার কবচ হিসেবে কাজ করছে না। দিকে দিকে শুধু আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ছে।
কখনো মন্ত্রী বাড়ি ঘেরাও, আবার কখনো মন্ত্রীর গাড়ি ঘেরাও করে, আবার কখনো মহাকরণের মূল ফটকে সামনে দেখা যায় সরকারি দপ্তরের শূন্য পদ পূরণের দাবি নিয়ে তীব্র প্রতিবাদে সামিল হতে। দাবি একটাই সরকার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার জন্য। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সরকারের ইতিবাচক কোন ভূমিকা নেই। যার ফলে শুক্রবার পুনরায় বিক্ষোভের সামিল হয় এস টি জি টি উত্তীর্ণ চাকরি প্রত্যাশী যুবক-যুবতীরা। শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও করে তীব্র বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তারা। দাবি এস টি জি টি সকলকে একসাথে নিয়োগ করার। কারণ শিক্ষামন্ত্রী সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ১৪ হাজার শিক্ষক নিতে চান বলে চাকরির সাফাই গান গেয়েছিলেন। শিক্ষামন্ত্রী এ ধরনের প্রলোভনে পড়ে রাজ্যের শিক্ষিত যুবক-যুবতীরা উৎসাহিত হয়ে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বিএড এবং ডি এল এড কোর্স করে টেট উত্তীর্ণ হয়েছে। এখন তাদের চাকুরী মিলছে না।
এ বিষয়ে মন্ত্রীদের দোয়ারে দুয়ারে ঘুরতে ঘুরতে পায়ের জুতো একপ্রকার ক্ষয় হয়ে পড়ছে। গত কয়েকদিন আগে উপমুখ্যমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী দ্বারস্থ হয়ে এসটিজিটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকলকে একসাথে নিয়োগের দাবি জানানো হলে তিনি বলেছেন দপ্তর থেকে যদি শূন্য পদ পূরণের জন্য অর্থ দপ্তরের অনুমোদন চাওয়া হয় তাহলে তিনি দিতে প্রস্তুত। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী বেকার যুবক যুবতীদের সাথে ছিনিমিনি খেলে চলেছেন। আন্দোলন করলে পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে আটক করে নেয়া হচ্ছে। আসলে মন্ত্রীমশাই কোন পরীক্ষা দিয়ে চেয়ারে বসেন নি, তিনি জনগণের ভোটের মাধ্যমে নেতা হয়েছেন। তাই বেকারদের দুঃখ দুর্দশা বুঝেন না বলে তীব্র নিন্দা জানান তারা। শেষ পর্যন্ত দীর্ঘক্ষণ শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও করে দাঁড়িয়ে থাকার পর একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পায়। শিক্ষামন্ত্রী সাথে কথোপকথনের মাধ্যমে নিজেকে সমস্যার কথা তুলে ধরেন চাকরি প্রত্যাশি যুবক যুবতীরা।