স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১০ নভেম্বর : স্বজন – পোষণ, আত্মসাৎ ও স্বদলীয় কোন্দলের বহিঃপ্রকাশ ঘটে বৃহস্পতিবার। এলাকাবাসী পঞ্চায়েত আধিকারিক সহ পঞ্চায়েত সচিবকে তালা বন্ধ করে আটকে রাখে অফিস কক্ষে। ঘটনা পানিসাগর মহকুমার উত্তর দেওছড়া গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে। উল্লেখ্য, দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর ধরে পঞ্চায়েতের কার্যকলাপ নিয়ে পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান এবং কতিপয় মন্ডল নেতৃত্বদের কার্যকলাপে স্বদলীয় কর্মী সমর্থকদের মধ্যে খুব অসন্তোষ বিরাজ করছিল। শাসক দলের সমর্থকরা পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান, পঞ্চায়েত সদস্য এবং মন্ডলের কতিপয় নেতৃত্বের স্বজন- পোষণ, অর্থ আত্মসাৎ অকর্মণ্যতা মেনে নিতে পারছিলেন না।
বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েতে, পঞ্চায়েত দপ্তরের আধিকারিকের উপস্থিতির খবর পেয়ে ক্ষুব্দ এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে পঞ্চায়েত অফিসে উপস্থিত হয়ে পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বিশাল পুলিশ, টি এস আর বাহিনী। এলাকাবাসী সহ স্থানীয় নেতৃত্বদের অভিযোগ পঞ্চায়েত গঠনের পর থেকে সাড়ে তিন বৎসর হয়ে গেছে পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান, নির্বাচিত প্রতিনিধি কিংবা পঞ্চায়েত সচিব নিয়মিত অফিসে যান না। এলাকাবাসীর সঙ্গে কোনো যোগসূত্র রাখেন না। নিয়মিত কোন বৈঠক বা গ্রাম সভার আয়োজন করেন না, অফিসে বসে স্বজন- পোষণ করে পঞ্চায়েত চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর বন্টন নিয়ে স্বজন-পোষণ করেছেন। প্রকৃত দরিদ্র ঘর প্রাপকদের বঞ্চিত করে উপপ্রধান সহ মন্ডল নেতৃত্বরা নিজেদের মধ্যে ঘর ভাগ বাটোরা করে নিচ্ছেন। তাই এলাকাবাসী সুস্থ তদন্তের দাবী তোলে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এছাড়াও এলাকাবাসীর আরো অভিযোগ এলাকায় পানীয় জলের চরম অভাব। গ্রামের রাস্তার অবস্থা বেহাল, নেই রেগার কাজ। সবকিছু মিলিয়ে নৈরাজ্য এবং পাঁচ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে পঞ্চায়েত আধিকারীকে সুস্থ তদন্ত ক্রমে পঞ্চায়েতের দুর্নীতি ,স্বজন পোষণ এর সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে। পরবর্তী সময় পুলিশ প্রশাসনের আশ্বাসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।