স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১০ নভেম্বর : বাইকের বিকট শব্দ! তিতি বিরক্ত পথচারী থেকে শুরু করে রাস্তার আশপাশের বাড়ি ঘরের মানুষজন। বিলাসবহুল বাইক নিয়ে শহরে কিছু যুবক-যুবতী বিকট শব্দ করে ঘোরাফেরা করে। আবার কিছু সংখ্যক ছাত্রছাত্রী এই বাইকগুলো ব্যবহার করে শহরের দাপিয়ে বেড়ায়। বাইক গুলির উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সাইলেন্সার পৃথকভাবে লাগিয়ে শহরে শব্দ দূষণ করছে তারা। তাদের দৌরাত্ম্যে এক প্রকার অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে পথচারীরা। গোটা শহরের মতো ভি আই পি রোড দিয়ে একইভাবে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সাইলেন্সার লাগিয়ে যাতায়াত করে এই যুবক যুবতীরা। কিন্তু ভি আই পি রাস্তায় এ ধরনের বিকট শব্দের বাইকের আওয়াজ মন্ত্রি সহ প্রশাসনিক আধিকারিকদের কানে পৌঁছাতেই অভিযানে নামলো ট্রাফিক কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার ট্রাফিক কর্মীরা রাজধানীর হারাধন সংঘ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনটি বাইকের সাইলেন্সার খুলে ফেলেন। পাশাপাশি বাইক আরোহীদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে জরিমানা আদায় করে। ট্রাফিক কর্মীদের বক্তব্য এভাবে শহরে সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করলে বাইকের সাইলেন্সার খুলে ফেলা হবে এবং ৫০০ টাকা করে জরিমানা আদায় করা হবে। তারপরেও যদি সে সব যুবক যুবতীরা এ ধরনের ঘটনা সংঘটিত করে তাহলে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো মহাকরণে যাতায়াত করার ভিআইপি রোডে বলে এই অভিযান, নাকি গোটা শহরে সুষ্ঠু পরিবেশ গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পক্ষ থেকে এই অভিযান করা হচ্ছে। যাই হোক ট্রাফিক কর্মীদের সক্রিয় রূপ দেখে এদিন অনেকেই বাহবা করেছেন। আগামী দিনে এই অভিযান কতটা জারি থাকবে সেটা এখন বড় বিষয়। দাবি উঠেছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার। কারণ এ ধরনের শব্দে প্রবীণদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া এবং সদ্যোজাত শিশুর শ্রবণ শক্তির উপর প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকে। রাস্তা আশপাশে বাড়ি ঘরের মানুষের ঘুম কেড়ে নেয়। তাই এর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। বিশেষ করে এই ধরনের উপদ্রব শহরের স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে আশপাশ এলাকা, লেক চৌমুহনী বাজার সংলগ্ন এলাকা, ভগবান ঠাকুর চৌমহনী এলাকা, কৃষ্ণনগর, ইন্দ্র নগর এলাকায়। এবং সেসব উচ্ছৃঙ্খল একাংশ যুবক শুধু বাইকের বিপদ শব্দে তারা মানুষের ঘুম কেড়ে নিচ্ছে না, রাস্তা দিয়ে এতটা দ্রুতগতিতে আঁকাবাঁকা হয়ে বাইক চালায় তাতে সাধারণ মানুষ দুর্ঘটনায় পড়ছে। ট্রাফিক পুলিশ মোড়ে মোড়ে দাঁড়ানো থাকলেও তাদের একমাত্র দায়িত্ব যেন মনে হয় ভিআইপিদের সুষ্ঠুভাবে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেওয়ার। সাধারণ মানুষ যে কতটা সমস্যায় এই বাইক আরোহীদের কারণে পড়ছে সে বিষয়ে ট্রাফিক দপ্তরের কোন নজর নেই। শহরের কয়েক শতাধিক সিসি ক্যামেরা লাগানো থাকলো সেগুলি দিয়ে এই বাইক আরোহীদের বিরুদ্ধে কোন উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ।