Thursday, April 18, 2024
বাড়িরাজ্যহতাশায় ভুগছে ল্যাবরেটরি টেকনোলজিস্টরা, প্রশ্ন এ কেমন সুশাসন

হতাশায় ভুগছে ল্যাবরেটরি টেকনোলজিস্টরা, প্রশ্ন এ কেমন সুশাসন

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৯ নভেম্বর : কথা বলার সুযোগ মিলছে না মুখ্যমন্ত্রীর সাথে! এ কেমন সুশাসন ? ঘরে ঘরে বেকাররা ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চিত। বুধবার আগরতলা প্রেস ক্লাবে শূন্য পদ পূরণের দাবিতে অল মেডিকেল ল্যাবরেটরি টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই বললেন চাকরি প্রত্যাশী প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ল্যাবরেটরি টেকনোলজিস্টরা। এদিন অল মেডিকেল ল্যাবরেটরি টেকনোলজিস্ট এসোসিয়েশনের সম্পাদক ভিকি দাস জানান গত পাঁচ বছরে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরে একজনও নিয়মিতভাবে ল্যাবরেটরীতে টেকনোলজিস্ট এবং টেকনিশিয়ান নিয়োগ করা হয়নি। রাজ্যের প্রত্যেকটি হাসপাতালে রোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা জন্য ল্যাবরেটরিতে কর্মীর যথেষ্ট অভাব রয়েছে। এ বিষয়ে আর টি আই -এর মাধ্যমে জানা যায় বর্তমানে ১৪৩ টি শুন্যপদ রয়েছে।

 সরকার এই শূন্যপদগুলি পূরণ না করে অবুলিশ করার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। গত পাঁচ বছরে কর্মীর প্রয়োজন হলে দপ্তর কন্টাক্ট বেসিক কয়েকজন কর্মী নিয়োগ করেছেন। এবং তাদের বেতন সঠিক সময়ের মধ্যে দেওয়া হচ্ছে না। দপ্তরের কাছে একাধিকবার ডেপুটেশন প্রদান করে দাবি জানানো হয়েছে যাতে নিয়মিত ভাবে লোক নিয়োগ করা হয় নি। কারণ রাজ্যে ল্যাবরেটরীতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রায় দুহাজার বেকার যুবক-যুবতী রয়েছে যারা দিশেহারা হয়ে ঘরে বসে আছেন। দপ্তরের পক্ষ থেকে শুধু আশ্বাস দিয়ে চলেছে নিয়োগ করা হবে, কিন্তু দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও নিয়োগের কোন উদ্যোগ নেই। আর কয়েক মাস পর বিধানসভা নির্বাচন। মন্ত্রী সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যে নিয়োগের কথা ছিল তাও পূরণ করা হচ্ছে না। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে চলতি মাসের মধ্যে যদি রাজ্য সরকার শূন্য পদগুলি পূরণ করার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহলে আগামী ডিসেম্বর মাসে বৃহত্তর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

 আর এ বিষয়টি সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে সরকারের উদ্দেশ্যে বার্তা দেওয়ার মূল কারণ হলো মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্য দপ্তরে মন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহার সাথে বহুবার দেখা করার জন্য সুযোগ চাওয়া হলেও তিনি দেখা করার সুযোগ দেননি। তাই ইতিমধ্যে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান সংগঠনের সহ-সম্পাদক সৈকত কুমার রায়। তিনি আরো বলেন রাজ্যের প্রধান রেফারেল জিবি হাসপাতালে পর্যন্ত এই কর্মী সংকট রয়েছে। ফলে হাসপাতালে পরিষেবা নিতে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় দুর্ভোগের শিকার হয় রোগী। যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য