স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৮ নভেম্বর : ১৫ বছরের হোস্টেল পড়ুয়ার পচাগলা দেহ উদ্ধার। মৃত ছাত্র গন্ডাছড়া থানা অন্তগর্ত ১৯ মাইল কৃষ্ণজয় রিয়াং চোধুরী পাড়া হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর পাঠরত ছাত্র ক্ষিরণ জয় রিয়াং। বাড়ি তেতুইয়া ভিলেজের ভারত চন্দ্র পাড়া। ক্ষিরণ জয় কৃষ্ণজয় রিয়াং চৌধুরী পাড়ার হাই স্কুলে পড়াশুনা করতো। সে গত কয়েকদিন আগে হোস্টেলে ছেলেদের সাথে দুষ্টামী করেছিল। এই নিয়ে হোষ্টেলের দায়িত্ব প্রাপ্ত নজেন্দ্র রিয়াং তার পরিবার এবং হোস্টেলে চেয়ারম্যানকে জানায় নি।
তবে পূজার ছুটি কাটাতে যাওয়ার সময় তাকে বলে দিয়েছিল পিতাকে হোস্টেলে নিয়ে আসার জন্য। পূজার ছুটি কাটিয়ে ক্ষিরণ গত ১৫ অক্টোবর হোস্টেলে আসলে হোস্টেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নজেন্দ্র রিয়াং ছাত্রের কাছে তার পিতাকে না আনার কারণ জানতে চায়। পরবর্তী সময় এদিন তাকে খাবার না দিয়ে হোস্টেল থেকে বের করে দেন বলে অভিযোগ। ২১ অক্টোবর তার মাসি আমবাসা কুলাই হাসপাতালে মারা গেলে ক্ষিরণকে বাড়িতে নিয়ে যাবার জন্য যখন হোষ্টলে যায় তার বাবা, তখন জানতে পারে তাকে গত ১৫ অক্টোবর হোস্টেল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। তারপর পরিবারের লোকজনেরা আত্মীয় পরিজনদের বাড়িতে বহু খোঁজাখুঁজি করে তার কোন হদিশ পায়নি। অবশেষে গঙ্গানগর থানায় গত তিন নভেম্বর একটি নিখোঁজ ডায়েরি করে ক্ষিরণের পিতা। ৬ নভেম্বর ডারত চন্দ্র এলাকা বাসী লাকড়ির জন্য জঙ্গলে গিয়ে ক্ষিরণের জামা জুতা পড়ে থাকতে দেখে খবর দেয় পরিবারের লোকজনদের। পরিবারের লোকজনের এসে সনাক্ত করে এগুলি ক্ষিরণ জয়ের। পরে জঙ্গলে খোঁজা খুজির করে পচাগলা মৃত দেখতে পায়। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। পুলিশ সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা হাতে নিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে হোস্টেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নজেন্দ্র রিয়াং জানেন পরবর্তী সময়ে বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু আশ্চর্য বিষয় হলো চেয়ারম্যান সাহেব পরিবারের লোকজনদের জানান নি। এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে চাঞ্চল্য। প্রশ্ন উঠছে হোস্টেলে দায়িত্বপ্রাপ্ত নজেন্দ্র রিয়াং -এর ভূমিকা নিয়ে। কারণ নজেন্দ্র রিয়াং তার পরিবার এবং হোস্টেলের চেয়ারম্যানকে না জানিয়ে কিভাবে একজন ছাত্রকে হোস্টেল থেকে বের করে দেয়।