স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৪ নভেম্বর : গত ১৯ অক্টোবর থেকে রাজ্যে নারীর সংক্রান্ত অপরাধ মাথা চাড়া দিয়েছে। এই সময়ে মাত্র ১০ থেকে ১২ দিনের ব্যবধানে কুমারঘাট, কৈলাসহর, কল্যাণপুর, আগরতলা যোগেন্দ্র নগর, ৭৯ টিলার হরিজন কলোনি সহ একাধিক স্থানে ৫-৬ টি ধর্ষণ, গণধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ উঠছে। বহু অভিযুক্ত এখনো জালে তুলতে পারেনি পুলিশ। এনিয়ে কয়েকদিন লোক দেখানো রাজনৈতিক ময়দান গরম করেছে রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। বর্তমানে সেই আন্দোলন আবার হিমঘরে করে চলে গেছে।
গত দুদিন বিরোধীদের আন্দোলন কিছু কাজ স্তিমত হতেই নারীর সুরক্ষা নিয়ে আবারও দরদে ঘেমে গেছে রাজ্যের একাংশ মহল থেকে শুরু করে সরকারি দপ্তরগুলি। হলঘরে মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়িয়ে প্রশাসনিক আধিকারিক থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা নারী সুরক্ষার কথা বলছেন। কিন্তু যখন রাজ্যে এ ধরনের নারীর সংক্রান্ত অপরাধ মূলক ঘটনা সংঘটিত হয় তখন কতটা সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে পারেন তারা তা নিয়ে আবারও রীতিমত গুঞ্জন শুরু হয়েছে অভিজ্ঞ মহলে। উল্লেখ্য, শুক্রবার সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে প্রজ্ঞাভবনে নারী ক্ষমতায়ন ও সুরক্ষায় সক্রিয় বাস্তুতন্ত্র তৈরির বিষয়ে রাজ্য স্তরীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য লিগ্যাল সার্ভিসের ডেপুটি সেক্রেটারি হেনা বেগম, সভাধিপতি অন্তরা দেব সরকার, মহিলা কমিশনের ভাইস চেয়ারপার্সন অস্মিতা বনিক সহ অন্যান্যরা। নবীন প্রজন্মকে সঠিক দিশায় চলতে হলে শরীর সুস্থ রাখতে যোগ, ব্যায়ম ও প্রানায়ম করা আবশ্যক। নয়া শিক্ষা নীতিতে ভারতীয় কৃষ্টি, সংস্কৃতিকে যুক্ত করা হয়েছে। যা বিগত দিনে ছিল না। মহিলাদের অধিকার সুনিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। ৩৩ শতাংশ চাকুরীর জন্য সংরক্ষণ রাখা হয়েছে। স্ব-সহায়ক দল গুলির অধিকার মহিলাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানান সভাধিপতি অন্তরা দেব সরকার। মহিলারা আজ বঞ্চিত নয়। দীর্ঘদিন ধরে তারা অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল। বর্তমান সরকার তাদের কাজের ক্ষেত্রে ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে জানান তিনি। কিন্তু সম্প্রতি এতগুলি নারী অপরাধমূলক ঘটনা সংগঠিত হলো নির্যাতিতার পাশে দেখা যায়নি এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত বহু আধিকারিককে।