স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩১ অক্টোবর : সোমবার সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের ১৪৬ তম জন্ম দিন উপলক্ষে দেশব্যাপী রাষ্ট্রীয় একতা দিবস উদযাপন করা হয়। গোটা দেশের সাথে এ ডি নগর পুলিশ মাঠে রাজ্য পুলিশের উদ্যোগে অঙ্গিকার বদ্ধ ও ব্যান্ড শো অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। কুচকাওয়াজের অভিবাদন গ্রহণ করেন তিনি। পরিবেশিত হয় ব্যান্ড শো।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ঊণকোটি জেলার দেওনদী এবং মনু নদীর সঙ্গম স্থলে সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। এর জন্য রাজ্য সরকার ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয় করবে বলে ঘোষণা দেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। টি এস আর -র একটি দল কেন্দ্রীয় কুচকাওয়াজে অংশ নিয়েছে। যা এদিন গুজরাটে রাষ্ট্রীয় একতা দিবস হিসাবে উদযাপিত হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও আই বি-র সহায়তায় আগরতলায় ৮ ও ৯ নভেম্বর প্রথম বারের মত উত্তর পূর্ব রাজ্য গুলির ডিজিপি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সমস্ত ডিজিপি- দের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় সংস্থা গুলি এই সম্মেলনে অংশ নেবেন। এটা উত্তর পূর্বাঞ্চলের পুলিশ বাহিনীর মধ্যে স্বমনবয় বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
সীমান্ত অপরাধ ও গুরুতর অপরাধ কমাতে এটা সহায়ক হবে। পূর্ণ রাজ্য প্রাপ্তির এই সময়ে রাজ্য সরকার পুলিশ ও হোমগার্ডদের বিশেষ স্বীকৃতি হিসাবে একটি পদক চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী পদটিকে এখন আরও বর্ধিত করা হয়েছে । তদন্ত, গোয়েন্দা, সাইবার অপরাধ, খেলা ধূলার স্বীকৃতি এর আওতায় আনা হয়েছে। এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত এবং সবকা সাথ , সবকা বিকাশের চেতনায় ঐক্য থাকার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য সরকার পুলিশ এবং টি এস আর- এ সমস্ত পদে পদন্নোতি পক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। আরও বেশ কিছু পদন্নোতির জন্য বিচারাধীন পক্রিয়ায় রয়েছে। এস পি ও –দের সাম্মানিক ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। টি এস আর জওয়ানদের অবসরের বয়স ৫৭ থেকে বৃদ্ধি করে ৬০ বছর করা হয়েছে। ব্রৃদ্ধি পেয়েছে রেশন মানি ভাতা। ১৪০০ জন টি এস আর জওয়ান নিয়োগ হয়েছে। তাদের প্রশিক্ষণ চলছে। টি পি এস অফিসারদের ক্যাডার বৃদ্ধি করা হয়েছে। ২০২২ সাল থেকে ৪১০ জনকে আপদা মিত্র হিসাবে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর্ব শেষ হয়েছে। ২০২৩ সালের মার্চের মধ্যে আরও ৩৪০ জন স্বেচ্ছা সেবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। নেশার বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযান চালাচ্ছে রাজ্য পুলিশ। উত্তর পূর্বের রাজ্য গুলির মধ্যএ দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজ্য হিসাবে ত্রিপুরা মাদক পাচার রোধে সাফল্যের জণ্য স্থান পেয়েছে। পুলিশ বাহীনীকে উন্নত আধুনিক করতে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। হাইওয়ে টহলগাড়ি চালু হয়েছে। ১০০০ কনস্টেবল নিয়োগ পক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য পুলিশকে আধুনিক করার পক্রিয়া জারি রেখেছে সরকার। উগ্রপন্থার কিছু অবশিষ্ট অংশ রয়ে গেছে। যারা বাংলাদেশের ওপার থেকে কাজ করে যাচ্ছে। রাজ্য পুলিশ তাদের অবসান ঘটাতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আইন শৃঙ্খলার উন্নতির জন্য আরক্ষা কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছে। মহিলা সংক্রান্ত অপরাধ হ্রাস পেয়েছে। পুলিশে মহিলাদের ভূমিকা বৃদ্ধি করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ৪২৪ জন মহিলা পুলিশ সহায়কের চাকুরীর মেয়াদ মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। খোয়াই জেলার অধীন আরও একটি মহিলা থানা খুব শীঘ্রই চালু করা হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।