স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩১ অক্টোবর : সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্য সরকার বেসরকারি মেডিকেল কলেজ গুলির ফি স্ট্রাকচার ঠিক করতে একটি কমিটি গঠন করে। ন্যাশনাল মেডিকেল কাউন্সিলের প্রতিনিধিও এই কমিটিতে রয়েছেন। যার চেয়ারম্যান উচ্চ আদালতের অবসর প্রাপ্ত বিচারপতি এ বি পাল। এই ফি স্ট্রাকচার কমিটি আয়- ব্যয় সহ নানান খরচ গুলি বিবেচনা করে ফি নির্ধারণ করে থাকেন।
এই সমস্ত বিবেচনা করে ২০২২-২৩ একাডেমিক সেশন থেকে ফি স্ট্রাকচার কমিটি ফি ধার্য করেছে। এই একাডেমিক সেশনে যারা ভর্তি হবে তাদের প্রথমে দিতে হবে ১৫ লক্ষ ৩৫ হাজার ৩০ টাকা। তার মধ্যে ২৫ হাজার টাকা ফেরৎ যোগ্য। দ্বিতীয় বর্ষে দিতে হবে ১৪ লক্ষ ৮৯ হাজার ৫৩০ টাকা এবং তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষে দিতে হবে একই টাকা। পঞ্চম বর্ষে এই ফি জমা দিতে হবে ৭ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা। অর্থাৎ নতুন একাডেমিক সেশন থেকে ৫ বছরের কোর্সের জন্য মোট দিতে হবে ৬৭ লক্ষ ৪৮ হাজার ৩৮৫ টাকা। যা ২০২১-২২ একাডেমিক সেশনে ছিল ৫২ লক্ষ টাকা।
এরপর যারা পাশ করেন তারা হয়ে যান ইনটার্ন। তাদের উল্টে স্টাইপেন্ড দেয় কলেজ। বর্তমানে ১৪ হাজার ৫০০ টাকা স্টাইপেন্ড দেওয়া হয়। শনিবার টি এম সি-র কনফারেন্স হলে ২০২২-২৩ শিক্ষা বর্ষ থেকে ফি বৃদ্ধি প্রসঙ্গে জানাতে গিয়ে এই কথা বলেন জানান টি এম সি এবং ডাঃ ব্রাম টিচিং হাসপাতালের সি ই ও- স্বপন সাহা। তিনি আরও জানান টি এম সি- কে বাঁচিয়ে রাখতে হলে বর্তমানে দেড় কোটি টাকা খরচ করতে হবে পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্য। এছাড়া বানাতে হবে অডিটোরিয়াম। চালু করতে আরও ১২ থেকে ১৪ কোটি টাকার প্রয়োজন। কলেজ ও সরকার ইচ্ছা করলেই ফি বাড়াতে পারে না। সুপ্রিম কোর্ট অন্যান্য দিক বিবেচনা করে কেবল মাত্র ফি স্ট্রাকচার কমিটি এই ফি বৃদ্ধি করতে পারে বলে জানান তিনি।